আত্নহত্যা সম্পর্কে দন্ডবিধি যা বলে


আত্নহত্যা সম্পর্কে দন্ডবিধির ধারা ৩০৯ এ বলা হয়েছে,
"whoever attempts to commit suicide and does any act towards the commission of such offence, shall be punished with simple imprisonment for a term which may extended to one year, or with fine or with both " অর্থাৎ আপনি যদি আত্নহত্যা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন রাষ্ট্র আপনাকে এক বছর কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করতে পারে।
এখন প্রশ্ন উঠতে যে আত্নহত্যা করতে চায়,  সে ত এমনিতেই অনেক কষ্টে আছে,  তাহলে রাষ্ট্র দন্ডবিধির ৩০৯ ধারায় এরকম একটি বিধান কেন রাখল। খুব সোজা উওর to reduce the offence.  অর্থাৎ পাবলিককে নিরুৎসাহিত করা যাতে কেউ এই ধরণের কাজ না করতে চায়।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে "আত্নহত্যা একটি ক্ষণস্থায়ী সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান "।  কেউ ইচ্ছা করে এই সুন্দর ভবন ছেড়ে যাতে চায় না। তবে বেঁচে থাকা টা কখন কখন ও কারো জন্য অসহ্যকর হয়ে উঠে,  তখন সে এই যন্রণাদায়ক জীবন থেকে মুক্তি চায়,  অর্থাৎ সে মৃতু্্য কে বেছে জীবন থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে।  এর মানে এই নয় সে মৃত্যু কে ভালবাসে, সে নিষ্ঠুর জীবন থেকে মুক্তি চাচ্ছে।  আমাদের সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "right to life ".  এখন প্রশ্ন উঠতে পারে "right to life is equal to right to death or not".  সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিমকোর্ট এক মামলার রায়ে বলা হয়েছে medical treatment এর ক্ষেত্রে যদি কোন patient চায় doctor তার consent নিয়ে তার মৃত্যু ঘটাতে পারে।  তারপর মূলকথা জীবনে কষ্ট দুঃখ দুর্দশা, এগুলো থাকবেই।  স্রেফ বেঁচে থাকাটাই স্রষ্টা প্রদও অনেক বড় একটা blessing. যে কোন মূলেই হোক বেঁচে থাকুন আর বেঁচে থাকটা কে উপভোগ করুন।  কোয়ান্টাম মেথডে একটা জিনিস শিখে ছিলাম "সুস্থ দেহ সুন্দর মন কর্ম ব্যস্ত সুখি জীবন "।  সবাই ভাল থাকুন শুভ কামনা।
আপনার যে কোন আইনি সমস্যায় কল করুন ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭

Comments

Popular posts from this blog

২৬ এর মামলা কি! কেন মারামরি হলেই ২৬ এর মামলা করতে চাই।

কোন দলিলে কত টাকার স্ট্যাম্প লাগবে

সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রেফতার ও সামরিক বরখাস্ত কখন এবং কিভাবে হয়।