অপরাধ প্ররোচনা দিলে কি শাস্তি পেতে হয়!

আপরাধে প্ররোচনা (abetment) অর্থ্যাৎ কোন খারাপ কাজে সহায়তা করা। যে কাজটি আইনের চোখে অপরাধ এমন কাজে সামনে থেকে অথবা দূরে থেকে যেকোন ধরনের সহায়তা করারই অপরাধে প্ররোচনা করার অপরাধ।
এই অপরাধ ৩ ভাবে হতে পারে:
১. অপরাধ সংঘঠনে প্ররোচিত করে করলে।
২. ষডযন্ত্রে অংশ করতে।
৩. ইচ্ছাকৃত কোন কোন কাজ থেকে বিরত থেকে পরোক্ষ ভাবে সহায়তা করলে।
এই তিন ধরনের কাজ করলে সে দন্ডবিধির ধারা-১০৭ অনুযায়ি দায়ী হবে। এই অপরাধের দায়ী হতে অপরাধ সংঘঠনে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। অপরাধের সাথে সরাসরি যুক্ত না থেকেও প্ররোচনার অপরাধে সমান অপরাধী হয়ে যাবে।

ধারা-১০৮ অনুযায়ি, যে অপরাধের জন্য প্ররোচনা করা হয় তা সংঘঠিত না হলেও বা প্ররোচিত ব্যক্তি অপরাধ সংঘঠনে অস্বীকৃতি জানালেও প্ররোচনাকারী দোষী তার শাস্তি হবে।
অপরাধ প্ররোচনাকারী জ্ঞান ছিল না, বয়স কম বা অন্য কোন কারণই তার  জন্য এই অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় নাই।
সুতরাং এমন অপরাধমূলক কাজে প্ররোচনা থেকে থাকুন।

প্ররোচনার শাস্তি:
ধারা-১০৯: যদি অপরাধটি সংঘঠিত হয় তবে প্ররোচনাকারী ও কার্যসংঘটনকারী একই শাস্তি পাবে।
তবে নির্দিষ্ট করে কোন প্ররোচনার অপরাধের শাস্তি থাকলে সে উক্ত শাস্তি পাবে।
যদি সংঘঠিত নাও হয় তবুও যদি আইনে প্ররোচনা শাস্তি উল্লেখ থাকে সেই শাস্তি না থাকলে যে অপরাধে প্ররোচনা করা হয়েছে তার মূল শাস্তি পাবে।

লাইক,শেয়ার, কমেন্ট করে এক্টিভ থাকুন। হয়ত কেহ আপনার জন্য এই প্ররোচনার বিষয়টি জেনে ভবিষৎ প্ররোচনার মত নিকৃষ্ট অপরাধ সংঘঠনে বিরত থাকবে।

বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
আপনার যে কোন সমস্যায় পরামর্শ পেতে কল করুন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭

Comments

Popular posts from this blog

২৬ এর মামলা কি! কেন মারামরি হলেই ২৬ এর মামলা করতে চাই।

কোন দলিলে কত টাকার স্ট্যাম্প লাগবে

সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রেফতার ও সামরিক বরখাস্ত কখন এবং কিভাবে হয়।