যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতন করার মামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিকার।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, এর ১১ ধারায় যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো বা আঘাত প্রদানের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে।

 যদি কোন নারীর স্বামী বা স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি যৌতুকের জন্য উক্ত নারীর মৃত্যু ঘটান বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করেন কিংবা উক্ত নারীকে মারাত্মক জখম (grievous hurt) করেন বা সাধারণ জখম (simple hurt) করেন তা হলে উক্ত স্বামী, স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা ব্যক্তি-

(ক) মৃত্যু ঘটানোর জন্য মৃত্যুদণ্ডে বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং উভয় ক্ষেত্রে উক্ত দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন;

(খ) মারাত্মক জখম (grievous hurt) করার জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা অনধিক বার বছর কিন্তু অন্যুন পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং উভয় দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন;

(গ) সাধারণ জখম (simple hurt) করার জন্য অনধিক তিন বছর কিন্তু অন্যুন এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং উক্ত দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন;

সাধারনত দেশে নারী নির্যাতন আইনের ১১(গ) ধারায় অনেক মিথ্যা মামলা হয়। পারিবারিক মিলমিশ না হলেই ১১(গ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় বিয়ের সময় যৌতুক নেয়নি কিন্তু সংসার জীবনে যৌতুক দাবী করছে এমন বর্ননা দিয়ে মামলা করা হয়। সত্য যে নাই তাও না, অনেক সত্য ঘটনা সামাজিক চাপে ধামাচাপা পরে যায়। পরামর্শ হল দয়াকরে কঠোর আইনকে পুঁজি করে মিথ্যা মামলা করবেন না।

যদি মিথ্যা মামলা করেন তবে এই আইনেই তার প্রতিকার রয়েছে।
ধারা-১৭ অনুযায়ী, যদি কেহ মিথ্যা অভিযোগ করে তবে সে সাত বছর পর্যন্ত এবং অর্থ দন্ডে দন্ডিত হতে পারে।
সুতরাং মিথ্যা মামলা থেকে বিরত থাকুন।

বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
আপনার যে কোন সমস্যায় পরামর্শ পেতে কল করুন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭

Comments

Popular posts from this blog

২৬ এর মামলা কি! কেন মারামরি হলেই ২৬ এর মামলা করতে চাই।

কোন দলিলে কত টাকার স্ট্যাম্প লাগবে

সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রেফতার ও সামরিক বরখাস্ত কখন এবং কিভাবে হয়।