জালিয়াতি কি ও শাস্তি

আমরা প্রায়ই জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারিত হই যা দন্ডবিধি,১৮৬০ এর ৪৬৩ ধারায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে:

কোন ব্যক্তি জালিয়াতি করেছে বলে গণ্য হবে যদি সে নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে কোন দলিল বা দলিলের অংশ প্রস্তুত করে:
ক. কোন ব্যক্তি বা জনসাধারণের ক্ষতিসধন করতে।
খ. কোন দাবি বা অধিকার সমর্থন করতে।
গ. কোন লোককে প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য চুক্তি সম্পাদনে বাধ্য করতে।
ঘ. প্রতারণা করতে।
মনে রাখবেন জালিয়াতির সাথে লিখিত জিনিস জরিত। লিখিত দলিলের কোন অসংগতি করেই জালিয়াতি করা যায়।

মনে করুন করিম এর নিকট রহিম কর্তৃক লিখিত রুহুল কর্তৃক পরিশোধনীয় ১০,০০০ টাকার একখানা ঋণপত্র আছে ৷ করিম রুহুলকে প্রতারিত করার জন্য এই অভিপ্রায়ে ১০,০০০ টাকার সাথে একটি শূন্য যোগ করে দেয় ও টাকার পরিমাণ  ১,০০,০০০ টাকা করে যেন রুহুল বিশ্বাস করে যে , রহিম কর্তৃক পত্রটি অনুরুপ লিখেছেন এখানে করিম জালিয়াতি করেছে বলে গণ্য হবে। করিমকে জালিয়াতির জন্য দোষী সাব্যস্থ করা যাবে।

ধারা-৪৬৫ অনুযায়ী যদি কোন লোক জালিয়াতি করে, তাবে সে লোক দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
আপনার যে কোন সমস্যায় পরামর্শ পেতে কল করুন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭

Comments

Popular posts from this blog

২৬ এর মামলা কি! কেন মারামরি হলেই ২৬ এর মামলা করতে চাই।

কোন দলিলে কত টাকার স্ট্যাম্প লাগবে

সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রেফতার ও সামরিক বরখাস্ত কখন এবং কিভাবে হয়।