২৬ এর মামলা কি! কেন মারামরি হলেই ২৬ এর মামলা করতে চাই।
দন্ডবিধির ৩২৬ ধারা মামলা কে আমরা ২৬ এর মামলা বলে থাকি। কোন বিরোধ নিয়ে মারামারি হলেই আমরা সাধারণত এই ৩২৬ ধারায় মামলা করতে চাই। কারন হিসেবে আঘাত জনিত যত মামলা আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শাস্তি সেই জন্য যে কোন প্রকার মারামারিতে আমরা ৩২৬ এর মামলা করতে চাই। যদি কেহ ৩২৬ এর অভিযোগে হাজতে যায় সাধারণত তাকে ১ মাস হাজতে থাকতে হয়। ক্ষেত্র বিশেষ সেটা আরও অনেক বেশি হয়।ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন হয় না দায়রা আদালত বা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে হয়। মনে করা হয় ২৬ এর মামলার অনেক শক্ত ভিত্তি, চলুন জেনে আসি প্রকৃত ৩২৬ ধারা কি!
৩২৬ ধারার মামলা হল, স্বেচ্চাকৃতভাবে মারাত্মক অস্রের মাধ্যমে গুরুতর আঘাত দান করলে ৩২৬ এর ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ১০ বছর পর্যন্ত শাস্তিযোগ্য হতে পারে এবং অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে।
জানা যাক গুরুতর আঘাত কি:
ধারা- ৩২০: কেবল নিম্ন লিখিত আঘাত সমূহকে গুরুতর আঘাত বলে গণ্য করা হবেঃ
এই ধারায় গুরুত্বর আঘাত বলতে কি বোঝায় তা বলা হয়েছে-
১ম, পুরুষত্বহীন করণ।
২য়, স্থায়ীভাবে যেকোন চোখের দৃষ্টিশক্তি বা জ্যোতি নষ্ট করণ।
৩য়, স্থায়ীভাবে যে কোন কানের শ্রবণশক্তি নষ্ট করণ।
৪র্থ, যেকোন অঙ্গ বা গ্রন্থির অনিষ্টসাধন।
৫ম, দেহের যেকোন অঙ্গের বা গ্রন্থির কর্মশক্তি নাশ বা স্থায়ী ক্ষতিসাধন।
৬ষ্ট, মাথা বা মুখমন্ডল স্থায়ী ভাবে বিকৃত করণ।
৭ম, যেকোন হাড় বা দাত ভাঙ্গা বা স্থানচ্যুত করণ।
৮ম, যে আঘাত আহত ব্যক্তিকে মেরে ফেলে না কিন্তু তার জীবন বিপন্ন করে বা যে আঘাতের ব্যথা বিশ দিনের বেশী স্থায়ী থাকে এবং এর ফলে আহত ব্যক্তি তার নিজের কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে ।
গুরুতর আঘাত যদি মারাত্মক অস্র দ্বারা না হয় তাহলে তার শাস্তি নিম্নরূপ:
ধারা-৩২৫: ইচ্ছাকৃত ভাবে গুরুতর আঘাত প্রদানের শাস্তিঃ যদি কোন ব্যক্তি, স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত দান করে, তবে উক্ত ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবে।
যদি গুরুতর আঘাত মারাত্মক অস্রের মাধ্যমেও না হয় তবুও আমরা চাই ডাক্তার যেন লিখে আঘাত অস্রের মাধ্যমে হয়েছে! প্রকৃত পক্ষে ৩২৫ ধারা কে ৩২৬ ধারা করতে গিয়ে আমরা মিথ্যার আশ্রয় নেই। যার কারনে বেশির ভাগ মামলাই চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যায় না। মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে প্রকৃত মামলা করাই শ্রেয়।
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
আপনার যে কোন সমস্যায় পরামর্শ পেতে কল করুন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭
#section_326 #গুরুতর_জখম #মারাত্মক_জখম #আঘাত #grievous_hurt
৩২৬ ধারার মামলা হল, স্বেচ্চাকৃতভাবে মারাত্মক অস্রের মাধ্যমে গুরুতর আঘাত দান করলে ৩২৬ এর ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ১০ বছর পর্যন্ত শাস্তিযোগ্য হতে পারে এবং অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে।
জানা যাক গুরুতর আঘাত কি:
ধারা- ৩২০: কেবল নিম্ন লিখিত আঘাত সমূহকে গুরুতর আঘাত বলে গণ্য করা হবেঃ
এই ধারায় গুরুত্বর আঘাত বলতে কি বোঝায় তা বলা হয়েছে-
১ম, পুরুষত্বহীন করণ।
২য়, স্থায়ীভাবে যেকোন চোখের দৃষ্টিশক্তি বা জ্যোতি নষ্ট করণ।
৩য়, স্থায়ীভাবে যে কোন কানের শ্রবণশক্তি নষ্ট করণ।
৪র্থ, যেকোন অঙ্গ বা গ্রন্থির অনিষ্টসাধন।
৫ম, দেহের যেকোন অঙ্গের বা গ্রন্থির কর্মশক্তি নাশ বা স্থায়ী ক্ষতিসাধন।
৬ষ্ট, মাথা বা মুখমন্ডল স্থায়ী ভাবে বিকৃত করণ।
৭ম, যেকোন হাড় বা দাত ভাঙ্গা বা স্থানচ্যুত করণ।
৮ম, যে আঘাত আহত ব্যক্তিকে মেরে ফেলে না কিন্তু তার জীবন বিপন্ন করে বা যে আঘাতের ব্যথা বিশ দিনের বেশী স্থায়ী থাকে এবং এর ফলে আহত ব্যক্তি তার নিজের কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে ।
গুরুতর আঘাত যদি মারাত্মক অস্র দ্বারা না হয় তাহলে তার শাস্তি নিম্নরূপ:
ধারা-৩২৫: ইচ্ছাকৃত ভাবে গুরুতর আঘাত প্রদানের শাস্তিঃ যদি কোন ব্যক্তি, স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত দান করে, তবে উক্ত ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবে।
যদি গুরুতর আঘাত মারাত্মক অস্রের মাধ্যমেও না হয় তবুও আমরা চাই ডাক্তার যেন লিখে আঘাত অস্রের মাধ্যমে হয়েছে! প্রকৃত পক্ষে ৩২৫ ধারা কে ৩২৬ ধারা করতে গিয়ে আমরা মিথ্যার আশ্রয় নেই। যার কারনে বেশির ভাগ মামলাই চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যায় না। মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে প্রকৃত মামলা করাই শ্রেয়।
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
আপনার যে কোন সমস্যায় পরামর্শ পেতে কল করুন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭
#section_326 #গুরুতর_জখম #মারাত্মক_জখম #আঘাত #grievous_hurt
আপনি ২৬ ক এর কথা বলছেন ২৬/২৬ক পাশাপাশি এবং আলাদা মামলা।
ReplyDelete৭
Delete৩২৬ এর মামলা কত দিন পর শাস্তি পাবে
ReplyDelete২০+ মামলার কি রায় হতে পারে???
ReplyDeleteমিথ্যা মামলায় করনীয় কি
ReplyDeleteধন্যবাদ মামলা করার নিয়ম
ReplyDelete