আইন, প্রশাসন ও রাজনীতি যোগ!
বেল্লাল হোসাইন
আইনবিজ্ঞানী জন অস্টিনের আইনবিষয়ক সংজ্ঞার সারসংক্ষেপ অনেকটা এমন,
" আইন হচ্ছে সার্বভৌম রাজনৈতিক শক্তির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধান্তসমূহ যা সকলের উপর বাধ্যকর।"
বাস্তবেও রাজনীতিই হলো সকল ক্ষমতার উৎস কেন্দ্র।
সংবিধানকে সর্বোচ্চ আইনের মর্যাদা দেয়া হয়। সংবিধানে লেখা আছে, সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক অন্যান্য আইন বাতিল।
সেই সংবিধানের বৈশিষ্ট্য কেমন হবে, কী কী বিধান সংবিধানে থাকবে, প্রয়োজনে সংশোধনের শর্ত কী হবে ইত্যাদির নিয়ন্তাও রাজনীতিকরা।
পুলিশ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন,বিচারবিভাগসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান যখন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত অথবা সরকারি সদিচ্ছায় কাজ করে তখন তারা ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়।
কিন্তু সরকার যদি নিজের জন্য প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করে তবে কেবল কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কিছুই করার থাকে না।
নৈতিক দায় থেকে পদত্যাগ করার কথা ভাবলেও সমাজ বাস্তবতায় তা আর হয়ে উঠে না।
তাই যদি কোনো গরবর মনে হয়, তখন শুধু ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানকে গালাগালি করে সাময়িক আমোদ পেলেও ফলাফল শূন্য!
কারো কাছে যদি মনে হয় যে সিস্টেম ঠিকঠাক কাজ করছে না, তবে সিস্টেমের নিয়ন্ত্রক রাজনীতিকে মেরামত করতে হবে।
রাজনীতি মেরামতের মিস্ত্রী কিন্তু জনগণ।
জনগণ যেহেতু কালেক্টিভ নাউন,তাই কাজটা করার দায় সবার উপরে পরে।
যদি না পারা যায়,তবে দয়া করে খালি পুলিশ, প্রশাসন, ম্যাজিস্ট্রেটদের গালি দিয়েন না।
পুনশ্চঃ সরকার বলতে সকল দেশের সব সময়ের সরকারকে বুঝাবে।
লেখকঃ আইনজীবী ও সমাজকর্মী
আইনবিজ্ঞানী জন অস্টিনের আইনবিষয়ক সংজ্ঞার সারসংক্ষেপ অনেকটা এমন,
" আইন হচ্ছে সার্বভৌম রাজনৈতিক শক্তির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধান্তসমূহ যা সকলের উপর বাধ্যকর।"
বাস্তবেও রাজনীতিই হলো সকল ক্ষমতার উৎস কেন্দ্র।
সংবিধানকে সর্বোচ্চ আইনের মর্যাদা দেয়া হয়। সংবিধানে লেখা আছে, সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক অন্যান্য আইন বাতিল।

পুলিশ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন,বিচারবিভাগসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান যখন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত অথবা সরকারি সদিচ্ছায় কাজ করে তখন তারা ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়।
কিন্তু সরকার যদি নিজের জন্য প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করে তবে কেবল কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কিছুই করার থাকে না।
নৈতিক দায় থেকে পদত্যাগ করার কথা ভাবলেও সমাজ বাস্তবতায় তা আর হয়ে উঠে না।
তাই যদি কোনো গরবর মনে হয়, তখন শুধু ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানকে গালাগালি করে সাময়িক আমোদ পেলেও ফলাফল শূন্য!
কারো কাছে যদি মনে হয় যে সিস্টেম ঠিকঠাক কাজ করছে না, তবে সিস্টেমের নিয়ন্ত্রক রাজনীতিকে মেরামত করতে হবে।
রাজনীতি মেরামতের মিস্ত্রী কিন্তু জনগণ।
জনগণ যেহেতু কালেক্টিভ নাউন,তাই কাজটা করার দায় সবার উপরে পরে।
যদি না পারা যায়,তবে দয়া করে খালি পুলিশ, প্রশাসন, ম্যাজিস্ট্রেটদের গালি দিয়েন না।
পুনশ্চঃ সরকার বলতে সকল দেশের সব সময়ের সরকারকে বুঝাবে।
লেখকঃ আইনজীবী ও সমাজকর্মী
Comments
Post a Comment