যৌন পীড়ন কি ও এর শাস্তি।
এইচ
. এম. রুহুল আমিন মোল্লা।
নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ২০০০ এর ধারা ১০ এই:
যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানি করেন তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন পীড়ন এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যুন তিন বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷

যে কোন প্রকার যৌন হয়রানি যা অবৈধ যৌন কামনা সাধনের জন্য এর মধ্যে পরে। যদি অঙ্গভঙ্গি এমন করে যে যৌন কামনা করতে চায় তাও যৌন হয়রানি।
দু:খের বিষয় হল এই ধারায় অনেক মিথ্যা মামলা হয়। কারন যদি কোন নারী দাবী করে কোন পুরুষ এমন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেছে সে মামলা করতে পারছে।
"যৌন পীড়ন বা অবৈধ যৌন হয়রানি বা অশোভন অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদি অপরাধের প্রধান উপাদান হচ্ছে, কোন নারী বা শিশু এর বিরুদ্ধে উক্ত কাজ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হতে হবে।" [48 CRLJ 542, 320 IC 144]
এর মানে হয়ে সেটা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা ইচ্ছা বা সম্মতি নিয়ে হলেও পরে তা প্রমান করা যায় না।
অন্য এক মামলায় বলা হয়েছে, “বর্তমান ধারাঅনুযায়ী যৌন পীড়ন বা যৌন হয়রানির মামলায় শুধুমাত্র বাদীর সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে জেল বা দন্ড দেওয়া ঠিক নয় " [67 IC 827, 23 CRLJ 475]
যদি ইচ্ছার বিরুদ্ধে না হয় তবে সে তার নিজের সাক্ষ্য দিয়ে তা প্রমান করতে পারবে না।
তবে যদি মিথ্যা মামলা হয় তবে একই আইনে প্রতিকার রয়েছে।
উক্ত আইনের ধারা ১৭ অনুযায়ী বিবাদী মামলা মিথ্যা প্রমানের পর বাদীর শাস্তি চেয়ে ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে বাদীর ৭ বৎসর পর্যন্ত দন্ড হতে পারে।
লেখক: শিক্ষানবিস আইনজীবী ও শিক্ষার্থী, আইন , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
আপনার যে কোন আইনি সমস্যায় কল করতে পারেন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭
. এম. রুহুল আমিন মোল্লা।
নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ২০০০ এর ধারা ১০ এই:
যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানি করেন তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন পীড়ন এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যুন তিন বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷

যে কোন প্রকার যৌন হয়রানি যা অবৈধ যৌন কামনা সাধনের জন্য এর মধ্যে পরে। যদি অঙ্গভঙ্গি এমন করে যে যৌন কামনা করতে চায় তাও যৌন হয়রানি।
দু:খের বিষয় হল এই ধারায় অনেক মিথ্যা মামলা হয়। কারন যদি কোন নারী দাবী করে কোন পুরুষ এমন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেছে সে মামলা করতে পারছে।
"যৌন পীড়ন বা অবৈধ যৌন হয়রানি বা অশোভন অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদি অপরাধের প্রধান উপাদান হচ্ছে, কোন নারী বা শিশু এর বিরুদ্ধে উক্ত কাজ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হতে হবে।" [48 CRLJ 542, 320 IC 144]
এর মানে হয়ে সেটা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা ইচ্ছা বা সম্মতি নিয়ে হলেও পরে তা প্রমান করা যায় না।
অন্য এক মামলায় বলা হয়েছে, “বর্তমান ধারাঅনুযায়ী যৌন পীড়ন বা যৌন হয়রানির মামলায় শুধুমাত্র বাদীর সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে জেল বা দন্ড দেওয়া ঠিক নয় " [67 IC 827, 23 CRLJ 475]
যদি ইচ্ছার বিরুদ্ধে না হয় তবে সে তার নিজের সাক্ষ্য দিয়ে তা প্রমান করতে পারবে না।
তবে যদি মিথ্যা মামলা হয় তবে একই আইনে প্রতিকার রয়েছে।
উক্ত আইনের ধারা ১৭ অনুযায়ী বিবাদী মামলা মিথ্যা প্রমানের পর বাদীর শাস্তি চেয়ে ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে বাদীর ৭ বৎসর পর্যন্ত দন্ড হতে পারে।
লেখক: শিক্ষানবিস আইনজীবী ও শিক্ষার্থী, আইন , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
আপনার যে কোন আইনি সমস্যায় কল করতে পারেন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭
Comments
Post a Comment