Posts

Showing posts from August, 2017

ধর্ষণ এবং প্রতিকার

Image
এইচ এম রুহুল আমিন মোল্লা বাংলাদেশে ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি! যা বর্তমানে মহামারী আকার ধারণ করেছে , এমন অবস্থায় আমাদের সকলের এর বিরোধে সচেতন হওয়া জরুরি । কি কি উপায়ে   ধর্ষণ হতে পারেঃ -দন্ড বিধি ১৮৬০ এর ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী ৫ প্রকার এর যে কোন অবস্থায় নারীর সঙ্গে যৌন সহবাস -করলে ধর্ষণ   করেছে বলে গণ্য হবে । -১   ইচ্ছার বিরুদ্ধে । ২ বিনা সম্মতিতে । ৩   সম্মতি অনুযায়ী হলেও যদি তার মৃত্যু বা আঘাতের ভয়ে সম্মতি আদায় করা হয় ।( অর্থাৎ জোর পূর্বক ) ৪ যদি পুরুষ জানে মহিলাটি তার আইনত স্ত্রী না, এবং এমন ভাব করে যার কারণে মহিলাটি বিশ্বাস করে সে তার আইনত স্ত্রী । (অর্থাৎ যদি কোন নারীর স্বামী এর পরিচয় দিয়ে করে) ৫   সম্মতি-সহ বা ছাড়া যদি ১৪ বছর এর কম হয় । ***এই ধারায় -একটি ব্যতিক্রম আছে, যদি স্ত্রী এর বয়স ১৩ এর কম হয় স্বামী হলেও তা ধর্ষণ   হবে- তবে ১২ বছর এর কম হলে শাস্তি হবে ২ বছর বা অর্থ দন্ড । ** নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন , ২০০০ এর ধারা ৯ অনুযায়ী যদি ১৬ বছর এর উপর হয় তার সাথে সম্মতি ছাড়া বা ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণা মূলক ভাবে ( অর্থাৎ বিয়ের প্রলবন দেখালেও

বিয়ের রেজিস্টার ফি

মুসলিম বিবাহ ও তালাক বিধিমালা, ২০০৯-এর ২১ বিধি অনুযায়ী নিকাহ ও তালাক নিবন্ধন ফি বাবদ একজন নিকাহ রেজিস্টার ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেনমহরের ক্ষেত্রে প্রতি ১ হাজার টাকায় ১২ টাকা ৫০ পয়সা হারে বিবাহ নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারবেন। দেনমোহরের পরিমাণ ৪ লক্ষাধিক হলে পরবর্তী প্রতি ১ লক্ষ টাকা দেনমোহরের জন্য ১০০ টাকা বিবাহ নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারবেন। তবে দেনমোহরের পরিমান যাই হোক সর্বনিম্ন ফি ২০০ টাকার কম হবে না। মুসলিম বিবাহ ও তালাক বিধিমালা, ২০০৯-এর ২১ বিধি অনুযায়ী তালাক নিবন্ধনের জন্য ৫০০ টাকা ফি গ্রহণ করতে পারবেন রেজিস্টার। নকল প্রাপ্তি ফি ৫০ টাকা, যাতায়াত বাবদ প্রতি কিলোমিটার ফি ১০ টাকা ও তল্লাশি ফি ১০ টাকা গ্রহণ করতে পারবেন। বিয়ের নিবন্ধন ফি বর কতৃক পরিশোধ করতে হবে এবং তালাকের ক্ষেত্রে যে পক্ষের উদ্যোগে তালাক নিবন্ধন করা হবে সে পক্ষ কতৃক পরিশোধ করতে হবে। আপনার যেকোন সমস্যায় কল করুন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭

গর্ভপাতের(Abortion)শাস্তি

Image
 গর্ভপাতের(Abortion)শাস্তি ১. দন্ডবিধির ধারা ৩১২ অনুযায়ী, কোন পুরূষ যদি কোন যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়াই কোন নারীর গর্ভপাত করায় তাহলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের জেল,আর্থিক জরিমানা অথবা উভয় শাস্তি। যদি গর্ভপাতের আগে নারীটি শিশুটির বিচরণ অনুভব করেন তাহলে ঐ পুরুষের সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছরের জেল এবং অর্থদন্ড।যদি কোন নারী কোন পুরুষের ইন্ধন ছাড়া কাজটি সম্পন্ন করেন তাহলে নারীটির জন্যও সমান শাস্তি বরাদ্ধ করা হয়েছে। ২. নারীর সম্মতি ছাড়াই যদি কোন পুরুষ কোন নারীর গর্ভপাত করান তাহলে দন্ডবিধির ধারা ৩১৩ অনুযায়ী ওই পুরুষের সর্বোচ্চ শাস্তি সশ্রমে অথবা বিনাশ্রমে ১০ বছরের কারাদন্ড এবং আর্থিক জরিমানা। ৩. যদি কোন ব্যক্তির গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে করা কোন কাজে নারীটির মৃত্যু হয় তাহলে দন্ডবিধির ধারা ৩১৪ অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য জেল এবং অর্থদন্ড হবে। এছাড়া যদি কাজটি নারীর সম্মতি ছাড়া হয় তাহলে ওই ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড হবে। ৪. কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন কাজ করে যাতে নারীগর্ভের শিশুটি ভুমিষ্ট হওয়ার পরপরই মারা যায় তাহলে ধারা ৩১৫ এবং ৩১৬অনুযায়ী ওই ব্যক্তির ১০ বছরের জেল এবং অর

ইয়াবা সম্পর্কে ভয়ানক কিছু তথ্য!!

Image
ইয়াবা মূলত মায়ানমারের শান প্রদেশে পাহাড়ে ঘোড়াদের খাওয়ানো হতো। কেননা ঘোড়া পাহাড়ে কোন গাড়ি সহজে টানতে চাইত না, পরে ঘোড়াকে পাগলা করে দিতে বার্মিজরা এই ড্রাগ তৈরি করে। থাইল্যান্ডে এর নাম ম্যাড ড্রাগ, ইন্ডিয়াতে নাম ভুলভুলাইয়া আর বাংলাদেশে বাবা এছাড়াও নাজি, স্পিড, হিটলার্স ড্রাগ, চকোলি নামেও এটি পরিচিত। এই ঘোড়ার ট্যাবলেট পরবর্তীতে প্রচন্ড কায়িক শ্রম করে এমন মানুষরা নেয়া শুরু করে এবং এরপর এটা থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের প্রষ্টিটিউটরা নিতে শুরু করে। বার্মা এর মূল তৈরির স্থান হলেও তারা কেবল এক্সপোর্ট করে, সেবনকারীর সংখ্যা সেখানে কম কারন তারা জানে জিনিসটা কি এবং কতটা খারাপ। ইয়াবা তৈরিতে ভয়াবহ রাসয়নিক উপকরণঃ ইয়াবার মূল উপাদান মেথামফেটামিন ও ক্যাফেইন। মেথামফেটামিন জিনিসটা দিয়ে তৈরি একটা ট্যাবলেট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈন্যদের জাগিয়ে রাখতে ব্যাবহার করা হত এবং ১৯৫০ এর দিকে জাপানে মেথামফেটামিন ব্যাপক ভাবে ব্যাবহৃত হয়েছে। বর্তমানে যে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি হয় তাতে মেশানো হয় হাইড্রোক্লোরিক এসিড, এসিটোন (যা মূলত নেইল পলিশ রিমুভার), রেড ফসফরাস, ব্যাটারির লিথিয়াম ও সালফিউ

থানায় মামলা নিতে না চাইলে কি করবেন!

Image
আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটনের পর কেউ থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ বিনামূল্যে সে মামলা নিতে বাধ্য। কিন্তু বাস্তবে প্রায়ই এমন অভিযোগ শোনা যায় যে, পুলিশ থানায় মামলা নিতে চায় না। কোন কারণে পুলিশ যদি কখনো থানায় মামলা নিতে না চায়, তাহলে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিচারিক হাকিমের আদালতে নালিশি অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করা যায়। তবে সংঘটিত অপরাধ আমল অযোগ্য হলে সবসময়ই সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট নালিশি মামলা দায়ের করতে হয়। আমল অযোগ্য অপরাধ হলো সেই সমস্ত অপরাধ যে সকল অপরাধ সংঘটনের দরুণ পুলিশ বিনা পরোয়ানায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না এবং এ সকল অপরাধ বিষয়ে তদন্ত করতেও সংশ্লিষ্ট বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয়। কোনটি আমলযোগ্য এবং কোনটি আমলঅযোগ্য অপরাধ তা ফৌজদারী কার্যবিধির দ্বিতীয় তফশীলের তৃতীয় কলামে বিধৃত করা রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতিঃ  ম্যাজিস্ট্রেটেরনিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ দায়ের করতে চাইলে ঘটনার আদ্যোপান্ত আদালতে খুলে বলে ঘটনার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আবেদন করতে হবে। তারপর দায়েরকৃত অভিযোগের কোন ভিত্তি

জরিপ কাজে ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ন শব্দের অর্থ

আইল: দুই খন্ড জমির মাঝের সীমানা। এজমালি: যৌথমালিকানা। কিত্তা: খন্ড। খায় খালাসী বন্ধক: নির্দিষ্ট মেয়াদে জমি বন্ধক নিয়ে যথাসময়ে ঋন পরিশোধ করে ফেললে তাকে খায় খালাসী বন্ধক বলে। চক: জমিদারির অন্তরভুক্ত কয়েক গ্রামকে চক বলা হত। চর্চা জরিপ: পয়স্থি জমি জরিপ। চাকরান: জমিদারের বাড়িতে কাজ করার শর্তে প্রজাকে যে জমি ভোগ করার জন্য দেয়া হত। যাছ: রেকর্ড যাচাই করা। জবর দখল: জোর করে দখল। জমাবন্দী: খাজনার তালিকা। তসদিক: প্রমান। তহসিল: খাজনা সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা। তামাদি: খাজনা আদায়ের নির্দিষ্ট সময় চলে গেলে তাকে তামাদি বলা হয়। তুদাবন্দী: সীমানা নির্দেশ। থাকাবাস্ত: দিয়ারা (পলিমাটি কর্তৃক গঠিত চর) জরিপকাজে এলাকা চিহ্নিত করা। দাখিলা: খাজনার রসিদ। দিয়ারা: পলিমাটি কর্তৃক গঠিত চর। দখলি স্বত্ব বিশিষ্ট: দখলের অধিকার। পাট্রা: সরকার, জমিদার কর্তৃক প্রজাকে জমি ভোগ করার জন্য জমি, খাজনার বর্ননা দিয়ে যে অধিকার পত্র দেয়া হত। ফিরিস্তি: আদালতে কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করার তারিখ। মৌজা: গ্রাম, ক্ষুদ্র পল্লী, এস্টেট কিংবা গ্রামের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগ। মোরব্বা: কোন জমি বা মৌজ

কোর্ট ম্যারেজ কি? কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করতে যা যা লাগে

Image
  কোর্ট ম্যারেজ কি? কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করতে যা যা লাগে পরিবারের অমতে বিয়ে না করাই ভালো, তবুও অনেক উঠতি বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকা পরিবারের অমতে কোর্টে গিয়ে কিছু কাগজপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই ভাবেন আইনগতভাবে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। তারা এখন স্বামী-স্ত্রী এবং একসাথে বসবাস করতে পারবে। আসলে- কোর্ট ম্যারেজ বলে কোন কিছু আইনে নেই। যুবক-যুবতি বা নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একত্রে বসবাস করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে যে হলফনামা সম্পাদন করে থাকে, তাই কোর্ট ম্যারেজ নামে পরিচিত। এর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এই রুপ কোন বিয়ে যদি কাজী অফিসে রেজিষ্ট্রী না করা হয় তাহলে আইনগত কোন ভিত্তি থাকবেনা। কোন এক সময় যদি এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ত্যাগ করে তাহলে আইনগত কোন প্রতিকার পাবেনা। পঞ্চাশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে কিংবা একশত পঞ্চাশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে বিয়ে বলে অভিহিত করা হয়। অথচ এফিডেভিট বা হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র। আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী ও আকদ সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা য