Posts

Showing posts from 2022

চেক ডিজঅনার মামলা বিষয়ক সাধারণ জিজ্ঞাসা।

 চেক নিয়ে আপনাদের সচরাচর জিজ্ঞাসা। প্রশ্ন: চেক ডিজঅনার কিভাবে করতে হবে। উত্তর: চেকের যে ডেট দেওয়া থাকে সেই ডেট থেকে ৬ মাসের মধ্যে আপনাকে অবশ্যই চেক ডিজঅনার করতে হবে। সাথে ব্যাংক থেকে ডিজঅনার স্লিপ নিতে হবে। একের অধিক ডিজঅনার করতে হবে এমন কোন কথা নেই। প্রশ্ন: ডিজঅনার পরবর্তী করণীয় কি? উত্তর: ডিজঅনার করার পর ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই কোন আইনজীবীর মাধ্যমে চেক দাতাকে লিগ্যাল নোটিশ দিতে হবে। প্রশ্ন: লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পর কিভাবে মামলা করব। উত্তর: লিগ্যাল নোটিশে চেক দাতাকে অবশ্যই ৩০ দিন সময় দিতে হবে যেন এর মধ্যে সে টাকা পরিশোধ করে। যদি ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করে তাহলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সিএমএম অথবা সিজিএম কোর্টে সি আর মামলা করতে হবে। মনে রাখবেন, লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার ৩০ দিন পর এবং ৬০ দিনের মধ্যে অবশ্যই মামলা করতে হবে। অর্থাৎ লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে অবশ্যই মামলা করতে হবে। প্রশ্ন: মামলায় কেমন খরচ লাগতে পারে? উত্তর: সেটা নির্ভর করবে আপনার আইনজীবীর উপর। প্রশ্ন: আমার কাছে চেক আছে কিন্তু সেটার মেয়াদ নাই অথবা ডিজঅনার করিয়েছি কিন্তু সঠিক সময়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাইনি। এখন

একই অভিযোগের বিষয়ে এক ব্যক্তিকে দুইবার শাস্তি দেওয়া যায় কিনা?

একটি মামলায় পূর্বে খালাস পেয়েছে খালাসে সংক্ষুব্ধ হয়ে বাদী পুনরায় নতুন মামলা করতে পারবেনা। এক্ষেত্রে আপিল করা যাবে। তবে বিচার কাজ সম্পন্ন হওয়া কোন অভিযোগে নতুন করে মামলা করা যাবে না। বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, "এক অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তি কে একাধিকবার ফৌজদারি তে সোপর্দ ও দন্ডিত করা যাবে না।" ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৩ ধারায় বলা হয়েছে একবার দণ্ডিত বা খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে একই অপরাধের জন্য পুনরায় বিচার করা যাবে না।  অর্থাৎ যদি কোন ব্যক্তি একটি অপরাধে একবার দণ্ডিত অথবা খালাসপ্রাপ্ত হয়ে থাকে একই অপরাধে তাকে পুনরায় বিচারের সম্মুখীন করা যাবে না তবে কোন পক্ষ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তাকে আপিল করতে হবে। উল্লেখ্য যে একবার চার্জ গঠন করা হলে বিচার সম্পন্ন হোক আর না হোক নতুন করে একই অপরাধে ওই ব্যক্তিকে নতুন মামলা দেওয়া যাবে না।  ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৩ ধারা প্রয়োগ করতে হলে তিনটি শর্ত প্রযোজ্য হবে। ১. অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে অপরাধ চার্জ করা হয়েছে তাকে সেই অপরাধের জন্য বিচার করতে হবে। ২. উক্ত বিচার অবশ্যই একটা সম্পূর্ণ কোন আদালত কর্তৃক হতে হবে। ৩. ব

আইনানুগ প্রতিনিধি (লিগ্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ)

দেওয়ানী কার্যবিধির ২(১১) ধারাতে আইনানুগ প্রতিনিধি অথবা লিগ্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যদি কেউ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির প্রতিনিধিত্ব করে, যে মৃত ব্যক্তির সম্পাতি পরিচালনা করে, অথবা মৃত ব্যক্তির পক্ষে মোকদ্দমা করে অথবা মৃত ব্যক্তির মোকদ্দমা যার উপর বর্তায় কাকে লিগ্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বলে। তিন শ্রেণীর ব্যক্তি আইনানুগ প্রতিনিধি বলে গণ্য হবে;  ১. যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির প্রতিনিধিত্ব করে ৰা যে ব্যক্তির উপর ব্যক্তির সম্পত্তি বর্তায় যেমন উত্তরাধিকারী ।  ২. যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি পরিচালনা করে । যেমন প্রশাসক  ৩. যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির প্রতিনিধি হিসেবে মোকদ্দমা করে বা মৃত ব্যক্তির প্রতিনিধি হিসেবে যার বিরুদ্ধে মামলা করা যায়। যেমন মোহান্ত বা সেবাইত। আপনার যে কোনো আইনি সমস্যার কল করুন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭

বিবাহবিচ্ছেদ অথবা স্বামীর মৃত্যুর কত বছরের মধ্যে দেনমোহর আদায়ের মামলা করতে হয়।

 বিয়ে একটি সামাজিক চুক্তি। বিয়ের মাধ্যমে নারী ও পুরুষ একে অপরের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে এবং সন্তান-সন্ততি জন্মদান করে। বিয়েতে কাবিন হচ্ছে অত্যাবশ্যক উপাদান। কাবিন ছাড়া কোন বিবাহ সম্পাদন হয় না। মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। বিয়ের পর যদি কোনো কারণে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ হয় তাহলে সেটা হতে পারে তালাকের মাধ্যমে অথবা স্বামীর মৃত্যুর মাধ্যমে।  যদি কোনো কারণে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাহলে তিন বছরের মধ্যে পারিবারিক আদালতে কাবিন আদায়ের মামলা করতে হবে। যদি কেউ তিন বছরের মধ্যে পারিবারিক আদালতে মামলা না করে তাহলে সেই মামলা খারিজ হয়ে যাবে। তামাদি আইনের অনুচ্ছেদ ১০৩ ও ১০৪ অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদের পর কাবিন আদায়ের মামলা তিন বছরের মধ্যে করতে হবে। যদি কেউ তিন বছরের মধ্যে না করে তাহলে তার মামলা আইন দ্বারা বারিত হবে। তখন তার মামলা খারিজ হয়ে যাবে। আপনার যে কোন আইনি সমস্যায় কল করুন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭