Posts

Showing posts from 2018

যৌতুকের নতুন আইন নিয়ে যত কথা

Image
এইচ.এম.রুহুল আমিন মোল্লা। যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ এর ধারা ২(খ) তে যৌতুক কি তা বলা হয়েছে, তা নিম্ন রুপ: যৌতুক’’ অর্থ বিবাহের এক পক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষের নিকট বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বশর্ত হিসাবে বিবাহের সময় বা তৎপূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ অব্যাহত রাখিবার শর্তে, বিবাহের পণ বাবদ, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, দাবিকৃত বা বিবাহের এক পক্ষ কর্তৃক অপর পক্ষেকে প্রদত্ত বা প্রদানের জন্য সম্মত কোনো অর্থ-সামগ্রী বা অন্য কোনো সম্পদ, তবে মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরিয়াহ্) প্রযোজ্য হয় এমন ব্যক্তিগণের ক্ষেত্রে দেনমোহর বা মোহরানা অথবা বিবাহের সময় বিবাহের পক্ষগণের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বা শুভাকাঙ্ক্ষী কর্তৃক বিবাহের কোনো পক্ষকে প্রদত্ত উপহার-সামগ্রী ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না। যৌতুক প্রদান ও গ্রহন     এখানে পক্ষ বলতে উভয় পক্ষকে বুঝাবে। বর বা কনে পক্ষ। প্রশ্ন আসে কনে পক্ষকি যৌতুক দাবি করতে পারে? হ্যা। কনে পক্ষ যৌতুকের দাবী করতে পারে। আর করলে সেটাও অপরাধ! তবে উল্লেখ থাকে যেন কনে পক্ষের দেনমোহর কিন্তু যৌতুক না। তবে মেয়ে সুন্দর বা অন্য কোন কারনে যদি টাকা বা অন্য কিছু দাব

যৌন পীড়ন কি ও এর শাস্তি।

Image
এইচ . এম. রুহুল আমিন মোল্লা। নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ২০০০ এর ধারা ১০ এই: যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানি করেন তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন পীড়ন এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যুন তিন বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷ যে কোন প্রকার যৌন হয়রানি যা অবৈধ যৌন কামনা সাধনের জন্য এর মধ্যে পরে। যদি অঙ্গভঙ্গি এমন করে যে যৌন কামনা করতে চায় তাও যৌন হয়রানি। দু:খের বিষয় হল এই ধারায় অনেক মিথ্যা মামলা হয়। কারন যদি কোন নারী দাবী করে  কোন পুরুষ এমন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেছে সে মামলা করতে পারছে। "যৌন পীড়ন বা অবৈধ যৌন হয়রানি বা অশোভন অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদি অপরাধের প্রধান উপাদান হচ্ছে, কোন নারী বা শিশু এর বিরুদ্ধে উক্ত কাজ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হতে হবে।" [48 CRLJ 542, 320 IC 144] এর মানে হয়ে সেটা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা ইচ্ছা বা স

সোস্যাল মিডিয়ায় সত্য মিথ্যার লড়াই"

Image
বেল্লাল হোসাইন ভারতের " আইডিয়া " নামক একটা মোবাইল কোম্পানি সম্প্রতি একটা ব্যতিক্রমী প্রচারণা চালিয়েছে। তারা নানা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে লোকজনকে সোস্যাল মিডিয়াতে সত্যিকারের অবস্থা তুলে ধরতে উৎসাহ দিচ্ছে। তারা বিজ্ঞাপনে দেখিয়েছে একজন মহিলা সংসারে অসুখী। একাকিত্ত্ব তার নিত্য সংগী। কিন্তু তার ফেসবুক পোস্ট পার্টি, হইহুল্লোড়ে ভরা! এমন আরো কিছু ভিন্ন ভিন্ন চিত্র তারা তুলে ধরেছে। কিন্তু তাদের আহব্বান অতটা জনপ্রিয়তা পায় নাই। এর কারন কী? আসলে আমাদের দেখানোর প্রবৃত্তিটা ইদানিং অনেক বেশি। যা আছে সেটাতো সবাই জানেই। যা নাই তাও বানিয়ে দেখাতে হয়। এই দেখানদারিতা একটা প্রতিযোগিতা। অংশীজনেরা কেউ বুঝে কেউ না বুঝে একটা শীতল স্রোতে আমুদে ভেসে চলেছি কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই যে মোহনা পার হয়ে গভীর সমুদ্রে সব বিলীন হয়ে যেতে পারি সেই খেয়াল করছি না। নার্সিজমের সবচেয়ে বড় কুপ্রভাব নিজেকে বেস্ট ভাবার প্রভাবে কিছু লোক ধীরে ধীরে অন্যের অভ্যাস,সামাজিক স্ট্যাটাস, মতকে অশ্রদ্ধা করতে শুরু করে। আচরণে বিনয় উঠে যায় আর আমিত্ত্বের জয়জয়কার হয়। অথচ বাস্তবে সেই ভার্চুয়াল কিং তো সাধারণ প্রজাই থেকে যায়।

নির্বাচনী ইশতেহারে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে স্পেশালাইজড স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব চাই

Image
ধারাবাহিকভাবে বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা শুধু ব্যাপক পাশের হারই নয় বরং সর্বোচ্চ ফললাভকারী শিক্ষার্থীদের উপচে পরা সংখ্যা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু আদতে এই শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগের প্রাপ্ত নম্বরের সাথে অর্জিত জ্ঞানের সামঞ্জস্য নাই। সাময়িকভাবে অভিভাবকরা খুশিতে বুদ হয়ে থাকলেও অচিরেই তাদের প্রত্যাশার বেলুন ফুটো হয়ে যাচ্ছে যখন বাচ্চারা কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় হামেশাই অসহায় আত্মসমর্পন করে। আর এই মানহীন শিক্ষা কাঠামোতে মাস্টার্স পাশ করেও অনেকে শুদ্ধ করে একটা চাকুরীর আবেদনপত্র লিখতে পারে না। কিন্তু বেকারত্ব মোচনের জন্য পর্যাপ্ত দক্ষতা অর্জন না করেই আমরা রাষ্ট্র,সমাজকে দোষারোপ করতে থাকি। ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান আর বাংলার মত মৌলিক বিষয়ে প্রায়োগিক জ্ঞান যে আমাদের নাই এর জন্য এককভাবে শুধু শিক্ষার্থীদের দায়ী করা চলে না। আমাদের মৌলিক শিক্ষার আতুরঘর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শুরু থেকে বাস্তবিকভাবেই অনেকটা ছাড় দিতে হয়েছে। যার নেতিবাচক  প্রভাব আমাদের উপর পড়েছে। কিন্তু যে সুযোগ সুবিধা আর কর্মপরিবেশ আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেই তাতে এরচেয়ে যোগ্যতর কেউ এই পেশা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশের এসআই প্রসঙ্গ।

Image
বেল্লাল  হোসাইন রুলস অব বিজনেসের দায়িত্বভার অর্থাৎ পদাধিকারবলে যে সব দায়-দায়িত্ত্ব পালন করতে হয় সে হিসাবে একজন এসআই পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারকে  অনেকগুলো কাজ করতে হয় যার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো, * এফআইআর গ্রহণ করা যা পুলিশের মাধ্যমে একটা ক্রিমিনাল কেস ফাইল হওয়ার প্রথম ধাপ। এই ধাপে ভুলভাল নথিভুক্তি মামলার মেরিট নষ্ট করে ফেলে যার দরুণ যথাযথ প্রতিকার না পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। * জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ সিনিয়র পুলিশ অফিসার কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে অপরাধ তদন্ত করা। * থানার ডিউটি অফিসার হিসাবে কাজ করা। * বিট পুলিশের প্রধান হিসাবে এলাকার লোকজনের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া। * কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আওতায় সাধারণ লোকজনকে মোটিভেট করা। * পুলিশের হায়ার ম্যানেজমেন্ট ও জনসাধারনের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা। * গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রটোকল অফিসারের দায়িত্ব পালন করা। * চাকুরীর ৫/৭ বছরে ইন্সপেক্টর হয়ে পুলিশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয়ে একঝাঁক পুলিশকে নেতৃত্ত্ব দেয়া। যেহেতু জনগনের সাথে পুলিশি এক্টিভিটির প্রধান সম

নেতার হাতে নেতৃত্ব না থাকার কুফল

Image
বেল্লাল হোসাইন যে কাজে কমিটমেন্ট আর রেসপনসিবিলিটির বালাই নাই সে কাজে কর্তার মনোযোগ থাকারও অবকাশ নাই। রাজনীতিতে ইতোমধ্যে যে শুন্যতা তৈরি হয়েছে তা অনুপ্রবেশকারী রাজনীতিকদের কারণে আরো ঘনীভূত হবে। জাতীয় সংসদ সংসদ সদস্য হওয়ার খায়েশ বাসনায় রাজনীতির বাইরের মানুষের আগ্রহ দিনকেদিন এমন হারে বেড়েছে যে ত্যাগী পেশাদার রাজনীতিকরা তাদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হচ্ছে। জনবিচ্ছিন্ন লোকেরা আজ জননেতা সাজার চেষ্টা করছে। ছাত্রজীবন থেকে যেসব নেতারা দলীয় আদর্শ ধ্যান ধারণা লালন করে বড় হয়েছেন তাদের চেয়ে নতুন করে দল ও জনগণকে ভালোবাসা নেতারা বহুবার গিরগিটি হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিকরা তাদের অস্তিত্ব টিকাতে পয়সা আর পেশীর ব্যবহার বেশি করেন। পেটোয়া বাহিনী লালন করে তারা জনগণকে নিগ্রহ করেন। রাজনীতি যদি ব্যবসায় করার হাতিয়ার হয়ে ওঠে তখন জনগণকে তার চড়া মুল্য দিতে হয়। যুগে যুগে আমরা সাধারণেরাই তুরুপের তাস ছিলাম। মার্টিন লুথার কিং গণতন্ত্রের একটা ভাল দিক হলো অন্তত মেয়াদ শেষে উপেক্ষিত জনগণের কাছে আবার নেতাদের ফিরতে হয়। জনগণের দয়ার দান ছাড়া কেউ জননেতা হতে পারে না।

এই শিক্ষার্থীরা, সেই শিক্ষকেরা!

Image
বেল্লাল হোসাইন নটরডেম কলেজ নটর ডেম কলেজের বিখ্যাত হিসাববিজ্ঞান শিক্ষক শ্রদ্ধেয় শীতল চন্দ্র দে স্যার তার ছাত্রদের "ছাপ্পা আড়াই নাম্বার মাল" হিসাবে আখ্যায়িত করতেন। কঠোর ডিভিশন পদ্ধতি বাদ দিয়ে যখন গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফলাফল দেয়া শুরু হলো তখন দিন দিন রেজাল্ট ফুলেফেঁপে উঠেছিল ঠিকই কিন্তু প্রত্যাশিত মানের ছাত্র কম পাওয়া যাচ্ছিল দেখে স্যার আগের মত খেটে পড়াতে উৎসাহ পেতেন না। তিনি শাসনের ব্যাপারে এতটাই কঠোর ছিলেন যে, কেউ নিজেকে প্রভাবশালী পরিচয় দিলে তার পিঠে স্টিলের স্কেল বাঁকা করে ফেলতেন। আমরা ভয়ে তটস্থ থাকতাম কারন কার উপর শনি কখন উঠে বুঝা যেত না। স্যারের ক্লাস ছিল টিফিন পিরিয়ডের আগেরটি।কাজেই তার ক্লাস শেষ করে দ্রুত টিফিন খেতে যাবার একটা তাড়া থাকতো। আমি একবার ভুল করে ঘণ্টা পরার পরও স্যার রুমে থাকতেই বের হয়ে গিয়েছিলাম। টিফিন খেয়ে এসে শুনি আমার উপর হুলিয়া। শিক্ষক অবমাননার দায়ে পরের দিন আমার কঠোর বিচার হবে। বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ বেজায় খুশি আমার বেহাল অবস্থা দেখে। অবশ্য আমরাও পরের বিপদ দেখে এমন খুশি হতাম মাঝে মাঝে! আমি বিপদ টের পেয়ে পরের দিন বিচারের আগেই স্যারকে ম

মানসম্মত শিক্ষার নিশ্চয়তায় মানসিক চাপ নয়

Image
বেল্লাল হোসাইন স্টুডেন্ট লাইফে ভিকারুননিসার কমপক্ষে ত্রিশজন ৩য় শ্রেণী থেকে ইন্টারমিডিয়েটের মেয়ে পড়িয়েছি। ২২ জনের একটা ব্যাচ পড়িয়েছি। ক্লাসের টপ স্কোরার থেকে তুলনামূলক দুর্বল বাচ্চা সবাই আমার ব্যাচে ছিল। বাচ্চাদের সাইকোলজি আর স্কুলের কারিকুলাম ও কুকাম সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই ওয়াকিবহাল আছি। জংগলে যেমন দুর্বল পশু শাবকদের খেয়ে ফেলা হয়, তেমনি ভিকারুননিসায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছাত্রীদের গ্রাস করে ফেলা হয়। ওরা ভর্তির সময়ই একটু বেশি বয়স্ক বাচ্চা নেয় যাতে ওদের প্রেশার কুকারে পরে বাচ্চাটি গলে না যায়। মোটিভেশন, দরদ দিয়ে না পড়িয়ে সব সময় নাই নাই কিচ্ছু হবে না আর সব সময় জীবনের চেয়ে জয়ের দাম বেশি মেথডে পড়ানো হয়। এতে বেশিরভাগ অভিভাবকদের নাই চিন্তা বানিয়ে দুশ্চিন্তা করার অভ্যাস ও যুদ্ধংদেহী মনোভাব কম দায়ী নয়। ধরুন একটা প্যারাগ্রাফ পড়ানো হবে। সাধারণ স্কুলে টাইগার,লায়ন,জিরাফ ইত্যাদি স্পেসিফিক একটা টপিক পড়ানো হবে। কিন্তু ভিকারুননিসার সিলেবাসে থাকবে বন্যপশু। যেকোনো একটা পশুর নাম উল্লেখ থাকবে তাকে সেটা লিখতে হবে। সেই প্যারাগ্রাফ আবার কোনো প্রচলিত বইয়ের সাথে মিলে গেলে লাড্ডু।

আইন, প্রশাসন ও রাজনীতি যোগ!

Image
বেল্লাল হোসাইন আইনবিজ্ঞানী জন অস্টিনের আইনবিষয়ক সংজ্ঞার সারসংক্ষেপ অনেকটা এমন, " আইন হচ্ছে সার্বভৌম রাজনৈতিক শক্তির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধান্তসমূহ যা সকলের উপর বাধ্যকর।" বাস্তবেও রাজনীতিই হলো সকল ক্ষমতার উৎস কেন্দ্র। সংবিধানকে সর্বোচ্চ আইনের মর্যাদা দেয়া হয়। সংবিধানে লেখা আছে, সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক অন্যান্য আইন বাতিল। সেই সংবিধানের বৈশিষ্ট্য কেমন হবে, কী কী বিধান সংবিধানে থাকবে, প্রয়োজনে সংশোধনের শর্ত কী হবে ইত্যাদির নিয়ন্তাও রাজনীতিকরা। পুলিশ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন,বিচারবিভাগসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান যখন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত অথবা সরকারি সদিচ্ছায় কাজ করে তখন তারা ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। কিন্তু সরকার যদি নিজের জন্য প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করে তবে কেবল কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কিছুই করার থাকে না। নৈতিক দায় থেকে পদত্যাগ করার কথা ভাবলেও সমাজ বাস্তবতায় তা আর হয়ে উঠে না। তাই যদি কোনো গরবর মনে হয়, তখন শুধু ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানকে গালাগালি করে সাময়িক আমোদ পেলেও ফলাফল শূন্য! কারো কাছে যদি মনে হয় যে সিস্টেম ঠিকঠাক কাজ করছে না, তবে সিস্টেমের নিয়ন

আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান ও প্রতিকার

Image
বেল্লাল হোসাইন একটু ভিন্নভাবে আলোচনা শুরু করা যাক। আব্রাহাম মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্বটি দেখে নেই। মাসলো মানুষের পাঁচ ধরনের প্রয়োজনকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করেছেন। ক) প্রাথমিক বা নিম্ন শ্রেণীর প্রয়োজন ১. দৈহিক বা মৌলিক চাহিদা হতাশা, যা আত্মহত্যার প্রধান কারন ২. নিরাপত্তার চাহিদা খ) উচ্চ শ্রেণীর প্রয়োজন ১. প্রতিপত্তি ও প্রীতির চাহিদা ২. আত্মমর্যাদার চাহিদা ৩. আত্মপ্রতিষ্ঠার চাহিদা চাহিদা সোপান তত্ত্বের সর্বনিম্ন চাহিদা- দৈহিক বা মৌলিক চাহিদা এবং চাহিদা সোপান তত্ত্বের সর্বোচ্চ চাহিদা- আত্মপ্রতিষ্ঠার চাহিদা। বাংলাদেশের মানুষেরা এখন চাহিদার সর্বোচ্চ স্তর পূরণের লক্ষ্যে বলব না বরং বিলাসিতায় নেমেছে। ভাত কাপড়ের অভাব নাই, পোলাও কোর্মায় রুচি নাই,ফ্রাইড রাইসের কালার নিয়া ব্যস্ত সবাই। এই অশুভ মিছিলের অগ্রভাগে দুর্ভাগ্যজনকভাবে যারা এগিয়ে আছে তারা হলো সমাজের শিক্ষিত শ্রেণীর লোকেরা। অন্যের ভালোটা হজম করার ডাইজেস্ট পাওয়ার না থাকার ফলে কেউ কিছু একটা অর্জন করলে সেটা নিজেকেও জিততে হবে মানসিকতার জন্য দিনশেষে নিজেকেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নিজের মগজের জোর থাকুক আর না থাকুক টপ

আত্মহত্যার প্ররোচনা এবং অরিত্রি

Image
বেল্লাল হোসাইন দন্ডবিধির ৩০৯ ধারায় বলা হয়েছে আত্মহত্যা করতে যেয়ে ব্যর্থ হলে এক বছর পর্যন্ত জেল ও এক হাজার টাকা পর্যন্ত আত্মহত্যার চেষ্টা জরিমানা হবে। তবে আত্মহত্যা সফল হলে জেল জরিমানা মাফ! অর্থাৎ এইজন্য অন্য কাউকে ঝামেলা পোহাতে হবে না। ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার শাস্তি দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।  কিন্তু ৩০৫ ধারায় আঠার বছরের কম বয়স্ক লোক,পাগল,অবুঝ,মাতাল প্রভৃতি লোককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিলে এবং সে আত্মহত্যা করে ফেললে ফাঁসিও হতে পারে! কিন্তু ভিকারিয়াস লায়াবিলিটি প্রমাণ করা শক্ত কাজ হবে। অনার কিলিং বলতে একটা টার্ম আছে! .......ভিকারিয়াস লায়াবিলিটি বা অন্যের দোষ নিজের ঘাড়ে পরা আইনের এমন একটা নীতি যেখানে কোনো অপরাধ ব্যক্তি নিজে না করলেও দোষী সাব্যস্ত করা যায় যদি অপরাধীকে নিয়ন্ত্রণ করার এখতিয়ার ও ক্ষমতা সেই ব্যক্তির থেকে থাকে অথবা সে কোনভাবে পরোক্ষ উস্কানি দিয়ে অপরাধটি করিয়ে থাকে। এই দায় কার প্রতি কীভাবে তৈরি হয়? যেমন একজন ম্যানেজার তার মালিকের পক্ষে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করে দেয়। তার কাজ স্বীকৃত। এভাবে অনেক লেনদেন হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ একদিন ম্যানেজার

জেনে নিন বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যার শাস্তির ইতিকথা ও শাস্তি কি?

Image
১৯৮৪ সালের ঘটনা। একদিন চেম্বারে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবার পর এজলাসে উঠার জন্য মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছি কিন্তু পেশকার তখনও কোর্টের কজলিস্ট ও ডাইরিতে সই নেবার জন্য চেম্বারে আসেনি। বিলম্ব দেখে এজলাস পিয়নকে জিজ্ঞেস করতেই, সে বলল- আজ তো খুলনায় হরতাল ডেকেছে তাই বাস চলাচল বন্ধ। পেশকার ত বাসে চড়ে অফিসে আসে তাই আসতে দেরি হচ্ছে। রোড একসিডেন্ট  আমি জানতে চাইলাম কী কারণে আজ হরতাল ডেকেছে?উত্তরে সে বলল- আপনি যে স্যার গতকাল এক ড্রাইভারকে সাত বছর জেল দিয়েছেন সে জন্যই পরিবহন শ্রমিকেরা আজ হরতাল ডেকেছে। বিষয়টি শুনে আমি থ বনে গেলাম। বিচার শেষে রায় দিয়েছি আর সেই রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল! আমি যেন বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলাম না। মামলার ঘটনার কথা মনে পড়ল। ঘটনার দিন দু’জন লোক রাস্তার পাশে বলে গল্প করছিল ঐ সময় ঘাতক বাসটি অপর একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় ঐ দু’জন লোকের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় ফলো ঘটনাস্থলে একজন লোক মারা যায়। এ মামলাটি সাক্ষ্য প্রমাণে সুপ্রমাণিত হলে আমি একমাত্র ড্রাইভার আসামিকে দন্ডবিধির ৩০৪ বি ধারামতে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদন্ড দেই। তার পরের দিনই ড্রাইভারকে জেল দেবার প্রতিবাদে হরত

মটরযান আইনে কি আছে?

Image
সাম্প্রতিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর মোটরযান আইন বা এসংক্রান্ত আইন জানার আগ্রহ অনেকে প্রকাশ করছেন। আমাকে ব্যক্তিগতভাবেও কয়েকজন বন্ধু জানতে চেয়েছেন। চলুন দেখি আমার, আপনার প্রিয়জন সড়ক দুর্ঘটনায় (ধাক্কায় বা পিষে বা অন্যকোনভাবে) মারা গেলে আইনে শাস্তির কি বিধান আছে? মটর যান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ ইং অনুযায়ী (অনেকগুলো ধারার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দিলাম)..... ★ অত্যাধিক গতিতে গাড়ি চালনোর শাস্তি প্রথম বার ১ মাস, ২য় বার ৩ মাস জেল অথবা জরিমানা অথবা উভয়। (১৪২ ধারা অনুযায়ী) মটর যান ★ বেপরোয়াভাবে বা বিপদজনকভাবে গাড়ি চালানোর শাস্তি ১ম বার ৬ মাস, ২য় বার ৩ বছর জেল অথবা জরিমানা অথবা উভয়। (১৪৩ ধারা অনুযায়ী) ★ মদ্যপান বা নেশা করে গাড়ি চালানোর শাস্তি ১ম বার ৩ মাস, ২য় বার ২ বছর জেল অথবা জরিমানা অথবা উভয়। (১৪৪ ধারা অনুযায়ী) ★ মানুষিক বা শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে গাড়ি চালানোর শাস্তি ১ম বার ৫০০ টাকা, ২য় বার ৩ মাস জেল অথবা জরিমানা অথবা উভয়। (১৪৫ ধারা অনুযায়ী) ★ রেসিং অথবা গতি পরীক্ষা করলে শাস্তি ১ মাস জেল অথবা জরিমানা অথবা উভয়। (১৪৮ ধারা অনুযায়ী) ★ ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় গাড়ি

ইস্লামে বিয়ে কত প্রকার

Image
ইসলাম অনুযায়ী  বিয়ে ৩ প্রকারঃ বৈধ, অনিয়মিত, বাতিল। ১. বৈধঃ যা ইসলামের হুকুম আহকাম মেনে আদায় করা হয়। নুন্যতম ২ জন সাক্ষী, ইজাব, কবুল, মোহরানা আদায় করে করতে হয় তাই বৈধ বিয়ে! ২. অনিয়মিতঃ কিছু কারনে এই বিয়ে অনিয়মিত হয়ঃ a. যদি সাক্ষী না থাকে b. যদি প্রিয়ড চলাকালীন হয়, এবং শেষ হলেই তা বৈধ হয়ে যাবে. c. যদি অন্য ধর্ম এর কোন মেয়েকে বিয়ে করে , ইসলাম গ্রহন না করা পর্যন্ত অনিয়মিত থাকবে। d. যদি চার এর অধিক বউ হয়। ৫ম বউ অনিয়মিত হবে। ফলাফলঃ ১. ঠিক করে নিলে নিয়মিত  হয়ে যাবে। ২. বাচ্চা হলে বৈধ। ৩. বাতিল বিয়েঃ যদি কোন নিষিদ্ধ সম্পর্কের মধ্য বিয়ে হয়! যাদের বিয়ে করা হারাম তাদের বিয়ে করাই হল বাতিল বিয়ে! আপনার যে কোন আইন জিজ্ঞাসায় কল করুনঃ ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭

মামলা হলে কি করবেন!

Image
মামলা হলে কি করবেন!   আমারা বিভিন্ন সময় সত্য বা মিথ্যা মামলায় হটাত গ্রেপ্তার হই। তখন আমাদের কি করনীয় তা আমরা জানি না।  তখন আমাদের উচিৎ সাথে সাথে কিছু বিষয় জানতে হবে, ১ কি মামলা হয়েছে? ২ যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে কি অপরাধের সাথে জড়িত কিনা? ৩ মামলাটি আপোষ যোগ্য নাকি আপোষ অযোগ্য? ৪ আমল যোগ্য নাকি আমল অযোগ্য? ৫ সাথে কি কোন আলামত পেয়েছে কিনা? এমন আরো কিছু জানার পর একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যিনি আপনার মাম্লাতি পরিচালনা করবেন, তবে ভাল একজন আইনজীবী নিবেন যেন সে আপনাকে যে কথা দেয় তা রাখে। আপনার আইনজীবী কে আপনি উকালতনামার মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করার ক্ষমতা  দিবেন। তারপর থেকে আপনার আইনজীবী মামলাটি পরিচালনা করবেন। যদি পুলিশ রিমান্ড চায়, তবে আপানার আইনজীবী রিমান্ড না দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করবেন। আপনার যেকোন সমস্যায় কল করুনঃ ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭

কি ভাবে বিয়ে করতে হয়?

Image
বিয়ে হল ২ জন মানুষ এক জন পুরুষ অন্য জন মহিলা এর চিরস্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য একটি চুক্তি। যার জন্য নিবন্ধন করতে হয় , তা কাজীর মাধ্যমে  অথবা কোর্টের মাধ্যমে।   যে কাগজে এই নিবন্ধন করা হয় তা - ই কাবিননামা নামে পরিচিত । ... বিয়ে নিবন্ধনের পর কাজী তথা নিকাহ রেজিষ্টার স্বামী ও স্ত্রীকে কাবিননামার সত্যায়িত কপি প্রদানে বাধ্য । ... বিবাহে স্বামী ও স্ত্রী ' র পূর্ণ সম্মতি রয়েছে কি - না , ( গ ) বিয়ের সাক্ষীগণ উপস্থিত কি - না এবং ( ঘ ) দেমমোহরের পরিমাণ যথাযোগ্য কি - না এবং তার কত অংশ আদায় করা হয়েছে । তবে ছেলের ক্ষেত্রে ২১ বছর মেয়ের ক্ষেত্রে ১৮ বছর নুন্যতম হতে হবে! সাথে আপনি কোর্টের মাধ্যমেও করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে একজন উকিল এর কাছে যেতে হবে। উকিল আপনাকে হলফনামা এর সাথে কাজীর মাধ্যমেও বিয়ে করিয়ে দিবে। যেন আপনার ভবিষ্যৎ কোন প্রকার সমস্যায় না পরতে হয়।   আপনার যে কোন প্রইয়োজনে আমাদের সাহায্য নিতে পারেন।  সাহায্য পেতে কল করুন (যদি বন্ধ থাকে তবে বার্তা দিন)