Posts

Showing posts from September, 2019

যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতন করার মামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিকার।

Image
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, এর ১১ ধারায় যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো বা আঘাত প্রদানের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে।  যদি কোন নারীর স্বামী বা স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি যৌতুকের জন্য উক্ত নারীর মৃত্যু ঘটান বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করেন কিংবা উক্ত নারীকে মারাত্মক জখম (grievous hurt) করেন বা সাধারণ জখম (simple hurt) করেন তা হলে উক্ত স্বামী, স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা ব্যক্তি- (ক) মৃত্যু ঘটানোর জন্য মৃত্যুদণ্ডে বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং উভয় ক্ষেত্রে উক্ত দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন; (খ) মারাত্মক জখম (grievous hurt) করার জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা অনধিক বার বছর কিন্তু অন্যুন পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং উভয় দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন; (গ) সাধারণ জখম (simple hurt) করার জন্য অনধিক তিন বছর কিন্তু অন্যুন এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং উক্ত দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন; সাধারনত দেশে নারী নির্যাতন আইনের ১১(গ) ধারায় অনেক মিথ্

পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করার আইন

Image
পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ সন্তান জন্ম দান ও লালন-পালন কারী পিতা-মাতা বৃদ্ধ বয়সে যেন সন্তান কর্তৃক অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার না হন সে জন্য পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন,২০১৩ কতগুলো বাধ্য-বাধকতার নির্দেশ দিয়েছে। আইনের ৩(১) ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করতে হবে। সন্তান বলতে পিতার ঔরসে এবং মাতার গর্ভে জন্ম নেওয়া সক্ষম ও সামর্থ্যবান পুত্র বা কন্যাকে বুঝিয়েছে। তাই পিতা-মাতার ভরণপোষণ একক ভাবে শুধু পুত্রের উপর নয়। কন্যাকে ও তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। আইনের ৩ (২,৩) ধারা অনুযায়ী একাধিক সন্তান থাকলে প্রত্যকে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করবে এবং তাদের একইসঙ্গে একি স্থানে বসবাস নিশ্চিত করবে। ৩(৪) ধারা অনুযায়ী পিতা বা মাতা অথবা তাদের উভয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন বৃদ্ধ নিবাস কিংবা অন্য কোথাও একত্রে কিংবা আলাদা আলাদাভাবে বসবাস করতে বাধ্য করবে না। ৩(৫) ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক সন্তান তার পিতা এবং মাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যা করবে।  যেক্ষেত্রে পিতা বা মাতা জীবিত নেই সেক্ষেত্রে

২৬ এর মামলা কি! কেন মারামরি হলেই ২৬ এর মামলা করতে চাই।

Image
দন্ডবিধির ৩২৬ ধারা মামলা কে আমরা ২৬ এর মামলা বলে থাকি। কোন বিরোধ নিয়ে মারামারি হলেই আমরা সাধারণত এই ৩২৬ ধারায় মামলা করতে চাই। কারন হিসেবে আঘাত জনিত যত মামলা আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শাস্তি সেই জন্য যে কোন প্রকার মারামারিতে আমরা ৩২৬ এর মামলা করতে চাই। যদি কেহ ৩২৬ এর অভিযোগে হাজতে যায় সাধারণত তাকে ১ মাস হাজতে থাকতে হয়। ক্ষেত্র বিশেষ সেটা আরও অনেক বেশি হয়।ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন হয় না দায়রা আদালত বা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে হয়। মনে করা হয় ২৬ এর মামলার অনেক শক্ত ভিত্তি, চলুন জেনে আসি প্রকৃত ৩২৬ ধারা কি! ৩২৬ ধারার মামলা হল, স্বেচ্চাকৃতভাবে মারাত্মক অস্রের মাধ্যমে গুরুতর আঘাত দান করলে ৩২৬ এর ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ১০ বছর পর্যন্ত শাস্তিযোগ্য হতে পারে এবং অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে। জানা যাক গুরুতর আঘাত কি: ধারা- ৩২০: কেবল নিম্ন লিখিত আঘাত সমূহকে গুরুতর আঘাত বলে গণ্য করা হবেঃ এই ধারায় গুরুত্বর আঘাত বলতে কি বোঝায় তা বলা হয়েছে- ১ম, পুরুষত্বহীন করণ। ২য়, স্থায়ীভাবে যেকোন চোখের দৃষ্টিশক্তি বা জ্যোতি নষ্ট করণ। ৩য়, স্থায়ীভাবে যে কোন কানের  শ্রবণশক্তি নষ

অপরাধ প্ররোচনা দিলে কি শাস্তি পেতে হয়!

Image
আপরাধে প্ররোচনা (abetment) অর্থ্যাৎ কোন খারাপ কাজে সহায়তা করা। যে কাজটি আইনের চোখে অপরাধ এমন কাজে সামনে থেকে অথবা দূরে থেকে যেকোন ধরনের সহায়তা করারই অপরাধে প্ররোচনা করার অপরাধ। এই অপরাধ ৩ ভাবে হতে পারে: ১. অপরাধ সংঘঠনে প্ররোচিত করে করলে। ২. ষডযন্ত্রে অংশ করতে। ৩. ইচ্ছাকৃত কোন কোন কাজ থেকে বিরত থেকে পরোক্ষ ভাবে সহায়তা করলে। এই তিন ধরনের কাজ করলে সে দন্ডবিধির ধারা-১০৭ অনুযায়ি দায়ী হবে। এই অপরাধের দায়ী হতে অপরাধ সংঘঠনে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। অপরাধের সাথে সরাসরি যুক্ত না থেকেও প্ররোচনার অপরাধে সমান অপরাধী হয়ে যাবে। ধারা-১০৮ অনুযায়ি, যে অপরাধের জন্য প্ররোচনা করা হয় তা সংঘঠিত না হলেও বা প্ররোচিত ব্যক্তি অপরাধ সংঘঠনে অস্বীকৃতি জানালেও প্ররোচনাকারী দোষী তার শাস্তি হবে। অপরাধ প্ররোচনাকারী জ্ঞান ছিল না, বয়স কম বা অন্য কোন কারণই তার  জন্য এই অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় নাই। সুতরাং এমন অপরাধমূলক কাজে প্ররোচনা থেকে থাকুন। প্ররোচনার শাস্তি: ধারা-১০৯: যদি অপরাধটি সংঘঠিত হয় তবে প্ররোচনাকারী ও কার্যসংঘটনকারী একই শাস্তি পাবে। তবে নির্দিষ্ট করে কোন প্ররোচনার অপরাধের

আপনিও অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেন!

Image
আমরা রাস্তা ঘাটে এমন ঘটনা দেখি যে, অনেকে অপরাধ করে সকলের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে আমরা কিছু বলতেছি না। আমরা মনে করি তাকে আটক করা শুধু পুলিশের কাজ। প্রকৃত পক্ষে আমাদেরও গ্রেপ্তার (আটক) করার আধিকার আছে, চলুন বিস্তারিত জেনে নেই! দন্ডবিধির ধারা-৫৯ তে উল্লেখ আছে, যে কোন সাধারন মানুষ গ্রেপ্তার করতে পারবে। দুই শ্রেণীর মানুষকে আপনি গ্রেপ্তার করতে পারবেন। ১. যদি কেহ আপনার সামনে আমল যোগ্য অপরাধ করে। আমলযোগ্য আপরাধ হল যে কাজ করলে পুলিশ কোন ব্যক্তি বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারে। আপনি যদি মনে করেন যে অপরাধটি করেছে সেটা আপনার কোন পুলিশ অফিসার থাকলেও গ্রেপ্তার করত তবে আপনিও গ্রেপ্তার করতে পারবেন। ২.পূর্ব ঘোষিত কোন অপরাধী, যে পলাতক রয়েছে তাকেও গ্রেপ্তার করতে পারবেন। গ্রেপ্তারের পর যত দ্রুত সম্ভব আপনি তাকে নিকটস্থ থানায় খবর দিয়ে কোন পুলিশ অফিসারের নিকট প্রেরন করবেন। অথবা সরাসরি ওসি সাহেবের নিকট প্রেরন করবেন।  বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।  আপনার যে কোন সমস্যায় পরামর্শ পেতে কল করুন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭

ফোরটুয়েন্টি কি এবং মানুষকে কেন বলা হয়!

Image
আমরা সবাই প্রতারক কে ফোরটুয়েন্টি বলে থাকি। এর একই আইনি ব্যাখ্যা আছে, চলুন জেনে আসি ফোরটুয়েন্টি আসলে কি।   দন্ডবিধির ৪১৫ ধারায় প্রতারনা (cheating) এর সংজ্ঞা উল্লেখ আছে। তা বিশ্লেষণ করলে এই পাওয়া যায় যে, যদি কোন ব্যক্তি ছলনা, প্রবন্ব্চনা বা অসাধুপায়ে অন্যর সম্পত্তি হস্তান্তর করতে প্রবৃত্ত করে তবে সে প্রতারণা করেছে। সেটা হতে পারে অন্যর অনুকুলে প্রদানে প্ররোচিত করা।  আবার যদি কোন ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন এমন প্ররোচনা করা যে, সে যদি প্ররোচিত না করতো ঐ ব্যক্তি তার কাজটি করত। যা না করার কারনে উক্ত ব্যক্তির দেহ, মন, খ্যাতি বা সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বা সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।  উল্লেখ্য সম্পত্তি বলতে স্থাবর, অস্থাবর সকল সম্পত্তি হবে।  ধারা-৪১৬: যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তি বলে প্ররোচনা করে তবে তা হবে ছদ্মবেশে প্রতারণা।  প্রতারণার শাস্তি: ধারা-৪১৭: প্রতারণার শাস্তি ১ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় শাস্তি এক সাথে হতে পারে।   ধারা-৪১৯: ছদ্মবেশে প্রতারণা করলে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় শাস্তি এক সাথে হতে পারে।   ##_ধারা_৪২০: প্রতারণার করে

144 জারি কি,কে করতে পারে এবং কেন করতে পারে

Image
Situation of section 144

হুলিয়া জারি ও সম্পত্তি ক্রোক। সম্পত্তি পুনরুদ্ধার প্রকৃয়া।

ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ধারা ৮৭ আনুযায়ি, আদালতের যখন বিশ্বাস করার কারন থাকে যে, কোন ব্যাক্তিকে পরোয়ানা জারির পরও পরোয়ানা যেন কার্যকর না হয় সে জন্য,  সে আত্মগোপন করেছে। আদালত তখন কোন নির্দিষ্ট স্থানে এবং নির্দিষ্ট সময়ে অন্তত ৩০ দিন সময় দিয়ে হাজির হতে বলতে পারে। সাধারণত আদালতেই হাজির হতে বলা হয়। ধারা ৮৮ আনুযায়ী আদালত সম্পত্তি ক্রোকেরও আদেশ দিতে পারে। যদি ক্রোককৃত সম্পত্তিতে অন্য কোন ব্যাক্তির স্বার্থ থাকে তবে সে ৬ মাসের মধ্য ক্রোকি আদালতে আপত্তি দাখিল করতে পারে। ক্রোকি সম্পত্তি পুনরুদ্ধার প্রকৃয়া: ধারা-৮৯ অনুযায়ি ক্রোকি সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্য আবেদন করা যায়, যার হুলিয়ার জন্য সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে সে ব্যাক্তি ২ বছরের মধ্যে ক্রোকি আদালতে উপস্থিত হয়ে আবেদন করবে। প্রমান করতে হবে পরোয়ানা এড়ানোর জন্য সে পলাতক বা আত্মগোপন করে নাই। সম্পত্তি পুনরুদ্ধার যদি ক্রোকি আদালত অগ্রাহ্য করে তবে আপিল, রিভিশন করা যাবে। আপনার যে কোন সমস্যায় পরামর্শ পেতে কল করুন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭