Posts

Showing posts from October, 2021

সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রেফতার ও সামরিক বরখাস্ত কখন এবং কিভাবে হয়।

Image
বর্তমান সময়ে একটি প্রচলিত কথা আছে সরকারি চাকরিজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করা বা গ্রেপ্তার করা যাবে না। কোন সরকারি চাকরিজীবীর বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা নিতে চায় না। তবে এটি একটি আইনের ভুল ব্যাখ্যার কারণে থানায় মামলা অনেকেই করতে পারেন না এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনা। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১ (১)  ধারা অনুযায়ী  ''কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেফতার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।'' অর্থাৎ শুধু তার চাকরি সম্পর্কিত বিষয় কোন অপরাধ হলে গ্রেপ্তার বিষয়ক এই নীতি অনুসরণ করবে। চাকরি দায়িত্ব পালন করার সময় সংঘটিত অপরাধ ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। অন্য ব্যক্তিগত যেকোনো ফৌজদারি অপরাধ (খুন, চুরি, ডাকাতি, মারামারি, নারী নির্যাতন, যৌতুক ইত্যাদি) এর ক্ষেত্রে  সরাসরি তাকে গ্রেফতার করা যাবে কারো কোনো পূর্ব অনুমতি লাগবে না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ সরকারি কর্মচারীকে আইনের অজুহাত দেখিয়ে গ্রেপ্তার করতে চায়না। যদি এমনটি হয়

পিতা মাতার ভরণ-পোষণ পাওয়ার আইনগত অধিকার।

Image
পিতা মাতা আইনগত ভাবে সন্তান থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী। ভরণপোষণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে, পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩। প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত আইনে ভরণপোষণ ভরণপোষণ দিতে সন্তানদের বাধ্য করা হয়েছে। সন্তান বলতে সামর্থ্যবান কন্যা এবং পুত্র উভয়কে বুঝাবে। পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ এর ধারা ৩ এ উল্লিখিত পিতা মাতার অধিকার সমূহ: ১) প্রত্যেক সন্তানকে তাহার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিতে হইবে। (২) কোন পিতা-মাতার একাধিক সন্তান থাকিলে সেইক্ষেত্রে সন্তানগণ নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করিয়া তাহাদের পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিবে। (৩) এই ধারার অধীন পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিবার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতার একইসঙ্গে একই স্থানে বসবাস নিশ্চিত করিতে হইবে। (৪) কোন সন্তান তাহার পিতা বা মাতাকে বা উভয়কে তাহার, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, কোন বৃদ্ধ নিবাস কিংবা অন্য কোথাও একত্রে কিংবা আলাদা আলাদাভাবে বসবাস করিতে বাধ্য করিবে না। (৫) প্রত্যেক সন্তান তাহার পিতা এবং মাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখিবে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যা করিবে। (৬) পিতা বা মাতা কিংবা উভয়

ধর্ম অবমাননা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নিয়ে আইন যা বলে।

Image
কোন ধর্মীয় স্থানের ক্ষতি সাধন, অসম্মান করা, লিখিত বা মৌখিকভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরি, অসম্মান করার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় স্থানে অনধিকার প্রবেশ বা ধর্মীয় বাক্য বা শব্দের বিকৃতি ধর্মীয় অবমাননা বলে গণ্য হবে। ধর্ম অবমাননা যে কোন ধর্মের বিপক্ষেই হতে পারে। সকল ধর্মের মানুষই ধর্ম অবমাননার শিকার হতে পারেন। ধর্ম অবমাননার শাস্তি: দণ্ডবিধির ২৯৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ধর্মীয় স্থান বা সেখানকার কেনা বস্তু ধ্বংস করা, ক্ষতি করা বা অসম্মান করাকে ধর্মীয় অবমাননা হিসাবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। ২৯৫(ক) ধারায় বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের কোন নাগরিককে মৌখিক, লিখিতভাবে বা অন্য কোন উপায়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হলে তা ধর্মীয় অবমাননা বলে গণ্য হবে। উক্ত অপরাধের ক্ষেত্রে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। ২৯৬ ধারায় বলা হয়েছে, আইনসঙ্গতভাবে আয়োজিত ধর্মীয় কোন সমাবেশ বা অনুষ্ঠানে কেউ বাধা বা বিশৃঙ্খলার তৈরি করলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। তাহলে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয় দণ্ড হত