Posts

Showing posts from October, 2019

যেসকল ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা (Injunction) মঞ্জুর করা যায় না

Image
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এ যে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে তা হল ১. অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা [ধারা : ৫৩] ২. চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা [ধারা : ৫৪] ৩. বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা [ধারা : ৫৫] কোন কোন ক্ষেত্রে এই নিষাধাজ্ঞা জারি করা যায় না তা হল: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৬ ধারা অনুযায়ী, ১. যেই দেওয়ানি মামলা বিচারাধীন সেই মামলায় তার কার্যক্রম স্থগিতের জন্য যদি না কার্যধারার পুনরাবৃত্তির রোধ করার জন্য তেমন নিষেধাজ্ঞার আবশ্যক হয়। ২. যেই আদালতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে, সেই আদালতের অধীনস্থ নয় এমন আদালতের কার্যধারা স্থগিত রাখার জন্য। ৩. কাউকে আইন প্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা থেকে বিরত রাখার জন্য। ৪. সরকারের কোনো বিভাগের সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ করার জন্য। ৫. কোনো ফৌজদারি কার্যধারা স্থগিত রাখার জন্য। যে চুক্তির কার্য সম্পাদন সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না এমন চুক্তিভঙ্গ নিরোধের উদ্দেশ্যে। ৭. কোনো কাজকে উৎপাত বলে বন্ধ করার জন্য যা কিনা যুক্তিসঙ্গতভাবে উৎপাতের পর্যায়ে পড়ে না। ৮. বাদীর মৌন সম্মতি আছে এমন কোনো ক্রমাগত লঙ্ঘন নিরোধ করার জন্য। ৯. বাদীর আচরণ যদি আদালতের সাহায

আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞা (Mandatory Injunction) কখন হয়

Image
আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞা দ্বারা আদালত বিবাদীকে কোন একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেন। এই কাজটি বাদীর অধিকার ভঙ্গের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হল নালিশি সম্পত্তি বা বিষয়বস্তুকে পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। এটাকে বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞাও বলে। কোনো বাধ্যবাধকতা ভঙ্গ করাবে রোধ করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে বাধ্য করার আদেশ দেওয়াকে বাধ্যতামূলক বা আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞা বলে। ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৫ ধারায় আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বলা হয়েছে। যখন একটি বাধ্যবাধকতা (obligation) ভঙ্গকে রোধ করার জন্য এমন নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন করতে বাধ্য করা আবশ্যক হয় তখন আদালত তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতা বলে (Discretionary power) বাধ্যবাধকতা ভঙ্গ রোধ করা এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় কার্য সম্পাদনে বিবাদীকে বাধ্য করার জন্য নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করতে পারেন।  এমন অনেক সময় হয় যে, বাদী অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণের সাথে সাথে বিবাদী তাড়াহুড়া করে অপকর্মটি সম্পন্ন করে ফেলে। এমতাবস্থায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি অনেক সময় অর্থহীন হয়ে পড়ে

নিষেধমূলক নিষেধাজ্ঞা (Prohibitory Injunction) কখন, কিভাবে করতে হয়।

Image
বিবাদীকে কোন অন্যায় কাজ করা হতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়ে আদালত যে নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করেন তাকে নিষেধমূলক নিষেধাজ্ঞা বলে। আসন্ন অন্যায় কাজকে প্রতিহত করার জন্য আদালত নিষেধমূলক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কোন চুক্তিভঙ্গ রোধ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি করা যেতে পারে। নিষেধমূলক নিষেধাজ্ঞা হল এক প্রকারের নিরোধক প্রতিকার (Preventive relief)। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫২ ধারা অনুসারে এই প্রকারের নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ী বা চিরস্থায়ী উভয় রকম হতে পারে। উদাহরণঃ করিম এর বাসার জানালার আল-বাতাস বন্ধ করার জন্য রহিম একটি উচু দেয়াল তৈরী করার প্রস্তুতি নেয়। রহিম এর এই ধরণের কাজ বন্ধ করার জন্য করিম নিষেধমূলক নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে। লাইক দিয়ে, পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করে এডমিনকে উৎসাহ প্রাদান করুন। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন। আপনার যে কোন সমস্যায় পরামর্শ পেতে কল করুন: ০১৬১৮৯৮৯৭৯৭

কোন দলিলে কত টাকার স্ট্যাম্প লাগবে

Image
রাজউকের প্লট ও ট্যাক্সের দলিলের জন্য মোট মূল্যের ওপর ২ শতাংশ টাকার সমমানের স্ট্যাম্প; ট্রাস্ট ডিড ক্যাপিটাল দলিলের মূল্যের ওপর ২ শতাংশ টাকার সমমানের স্ট্যাম্প; অছিয়তনামার কপির জন্য ৩০ টাকার স্ট্যাম্প; নকলের কবলা, বন্ড, বণ্টননামা, সার্টিফায়েড কপির দলিলের জন্য ৫০ টাকার স্ট্যাম্প; অনুলিপি, খাস-মোক্তারনামা দলিলের জন্য ১০০ টাকার স্ট্যাম্প; হলফনামা, বায়নার হলফনামা, হেবার ঘোষণাপত্র, না দাবি পত্র, বাতিলকরণ দলিলের জন্য ২০০ টাকার স্ট্যাম্প; চুক্তিনামা দলিল, অঙ্গীকারনামা, বায়নানামার দলিল, মেমোরেন্ডাম অব অ্যাগ্রিমেন্ট, রিডেম্পশন, সোলেনামা বা আপসনামার দলিলের জন্য ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প;আমমোক্তারনামা দলিল ও সাফকবলা দলিলের জন্য ৪০০ টাকার স্ট্যাম্প; তালাকের হলফনামার দলিলের জন্য ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প; অংশীদারি দলিলের জন্য ২ হাজার টাকার স্ট্যাম্প; মর্টগেজ বা বন্ধকের দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে— ক. ১ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২ হাজার টাকা; খ. ২০ লাখ ১ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা; গ. ১ কোটি ১ টাকার ওপরের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকার ও প্রতি লাখের জন্য ২ শতাংশ হারে মোট টাকার মূল্যমা