Posts

Showing posts from May, 2020

পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট কি ও কত ধরনের

Image
ফৌজদারী কার্যবিধি,১৮৯৮ এর ১৭৩ ধারায় পুলিশ রিপোর্ট বা প্রতিবেদনের কথা বলা হয়েছে। কোন অভিযোগের পর পুলিশ তার সত্যতা যাচাই করে যে রিপোর্ট প্রদান করে তা পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট। যা ২ ধরনের ১. চার্জশীট (charge sheet) ২. ফাইনাল রিপোর্ট (final report) চার্জশীট বা অভিযোগপত্র: অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে পুলিশ যে প্রতিবেদন দেয় তাই চার্জ শীট ৷ পুলিশ বি.পি.ফর্ম নং ৩৯ এ চার্জশীৰ্ট জমা দেয় ৷ রিপোর্ট বা প্রতিবেদনে যথেষ্ট অভিযোগ গঠনের বিষয়বস্তু থাকে , তাহলে সাধারণত সেই প্রতিবেদনকে চার্জ শীট বা অভিযোগ পত্র বলে। মনে রাখবেন চার্জশীটের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদন বা ফাইনাল রিপোর্ট: তদন্তকারী কর্মকর্তা (IO) অপরাধের সত্যতা খুঁজে না পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি ( discharge) করার সুপারিশ করে যে রিপোর্ট দেয় তা হলো চূড়ান্ত প্রতিবেদন বা ফাইনাল রিপোর্ট ৷ পুলিশ রেগুলেশনের ২৭৫ (গ) ধারায় বলা হয়েছে , চুড়ান্ত রিপের্টের সাথে পুলিশ হেফাজত হতে আটককৃত ব্যক্তিকে যুক্তি দিতে বা জামিন (বণ্ড ) থেকে তাকে অব্যাহতি দিতে একটি সুনির্দিষ্ট আবেদন জমা দ

জালিয়াতি কি ও শাস্তি

Image
আমরা প্রায়ই জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারিত হই যা দন্ডবিধি,১৮৬০ এর ৪৬৩ ধারায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে: কোন ব্যক্তি জালিয়াতি করেছে বলে গণ্য হবে যদি সে নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে কোন দলিল বা দলিলের অংশ প্রস্তুত করে: ক. কোন ব্যক্তি বা জনসাধারণের ক্ষতিসধন করতে। খ. কোন দাবি বা অধিকার সমর্থন করতে। গ. কোন লোককে প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য চুক্তি সম্পাদনে বাধ্য করতে। ঘ. প্রতারণা করতে। মনে রাখবেন জালিয়াতির সাথে লিখিত জিনিস জরিত। লিখিত দলিলের কোন অসংগতি করেই জালিয়াতি করা যায়। মনে করুন করিম এর নিকট রহিম কর্তৃক লিখিত রুহুল কর্তৃক পরিশোধনীয় ১০,০০০ টাকার একখানা ঋণপত্র আছে ৷ করিম রুহুলকে প্রতারিত করার জন্য এই অভিপ্রায়ে ১০,০০০ টাকার সাথে একটি শূন্য যোগ করে দেয় ও টাকার পরিমাণ  ১,০০,০০০ টাকা করে যেন রুহুল বিশ্বাস করে যে , রহিম কর্তৃক পত্রটি অনুরুপ লিখেছেন এখানে করিম জালিয়াতি করেছে বলে গণ্য হবে। করিমকে জালিয়াতির জন্য দোষী সাব্যস্থ করা যাবে। ধারা-৪৬৫ অনুযায়ী যদি কোন লোক জালিয়াতি করে, তাবে সে লোক দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়

ঘোষণামূলক মোকদ্দমা কোন বিষয়ে করা যায়

Image
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এর ৪২ ধারা অনুযায়ী ২ টি বিষয়ে #ঘোষণামূলক মোকদ্দমা করা যায়। ১. কোন ব্যক্তির আইনগত পরিচয়। আইনগত পরিচয় বলতে ব্যক্তির পরিচয়ের বিশেষ অধিকারকে বুঝায়। যেমন: বৈধতা, দত্তক, বিবাহ, তালাক কে বুঝাবে। যদি কারো বিরোধ্য তার আইনগত পরিচয় অস্বিকার করা হয় তখন সে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা করতে পারে। কোন পদের অধিকার থাকা ব্যক্তির যদি পদ অস্বীকৃত হয় তখনও সে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা করতে পারে। যেমন কলেজের অধ্যক্ষের পদ কেহ অস্বীকার করলে বা করার সম্বাবনা থাকলে সে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা করতে পারে। ২. সম্পত্তিতে কোন অধিকারের বিষয়ে। যেমন বাদীর সম্পত্তিতে স্বত্বের অধিকার আছে কিনা সেই বিষয়ে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা করা যায়। যেমন কেহ তার নিজ দখলীয় স্বত্বের অধিকারী সম্পত্তিতে ঘোষণার মোকদ্দমা করতে পারে। তবে স্বত্ব আছে দখলে নেই সেই সম্পত্তিতে আনুষাঙ্গিক প্রতিকার হিসেবে দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা না করলে ঘোষণামূলক মোকদ্দমার রায় দিবে না। ঘোষণামূলক মোকদ্দমার ক্ষেত্রে ডিক্রি জারীর আবেদন করা যায় না। তাই আনুষঙ্গিক বিষয় থাকলে সেই বিষয়েও কোর্ট ফি দিয়ে মোকদ্দমা করতে হবে নাহলে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা

থানায় কিভাবে ফৌজদারী মামলা করতে হয়।

Image
থানায় দুই ভাবে ফৌজদারী #মামলা করা যায়। এজহার বা প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর মাধ্যমে ও সাধারন ডায়েরীর মাধ্যমে। #এজহার বা প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর মাধ্যমে মামলা: ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ধারা-১৫৪ অনুযায়ী, যে ব্যাক্তি কোন আমলযোগ্য অপরাধ দেখেছে সে বা শুনেছে সে থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর দরখাস্ত আকারে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। যাকে এজহার বলে। যদি অভিযোগকারী মৌখিক ভাবে কোন অপরাধের সংবাদ প্রদান করে তবে ওসি তার নির্দেশিত মতে লিখিত আকারে নিতে পারে। লিখিত আকারে অভিযোগ নেওয়ার পর তা থানার বি.পি. ফর্ম নং-২৭ এ লিপিবদ্ধ করবে। যা প্রাথমিক তথ্য বিবরণী নামে পরিচিত। প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর নিচে অভিযোগকারী স্বাক্ষর করবে বা টিপসহি দিবে। এই মামলাকে জি.আর মামলা বলে। সাধারন ডায়েরী (#জিডি) এর মাধ্যমে মামলা: ধারা-১৫৫ অনুযায়ী যদি অভিযোগটি আমলইযোগ্য হয় তবে তা থানায় রক্ষিত ফর্ম নং-৬৫ তে লিপিবদ্ধ করবে। এবং সংবাদ দাতাকে নিকটস্থ আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরন করবে। ম্যাজিস্ট্রেট ধারা- ১৯০ অনুযায়ী আমলে নিবে। সাধারনত ম্যাজিস্ট্রেট থানায় তদন্তের জন্য পাঠায়। এই পদ্বতিতে দায়েরকৃত মামলাকে নন-জি.

কোর্টে মামলা কি ভাবে করতে হয়।

Image
ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ অনুযায়ী যে কোন ব্যাক্তি কোর্টে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট সরাসরি মামলা করতে পারে। ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৯০ ধারা অনুযায়ী -#ম্যাজিস্ট্রেট কোন ব্যাক্তির সরাসরি আবেদনে বা ম্যাজিস্ট্রেট নিজ ইচ্ছায় মামলা আমলে নিতে পারে। ধারা-১৯০ (১ক) অনুযায়ী কোন ব্যাক্তির নালিশী অভিযোগের মাধ্যমে মামলা আমলে নিতে পারে। যদি অভিযোগটি মৌখিক হয় তবে ধারা-২০০ অনুসরণ করে অভিযোগকারীকে শপথপূর্বক পরিক্ষা করবে। আর যদি লিখিত আকারে দেওয়া হয় তবে ধারা-২০০ অনুসরনের দরকার নাই সরাসরি আমলে নিবে। কোর্টে মামলা করতে #আইনজীবীর প্রয়োজন হয় না তবে সাধারনত কোর্টে মামলা করতে হলে কোট আইনজীবীর মাধ্যমে উপস্থাপন করে মামলা করা হয় কারন আইনজীবী কোর্ট প্রসিডিউর মেনে মামলা দায়ের করতে পারে। আইনজীবী ঘটনা শুনে তা লিখিত আকারে কোর্টে উপস্থাপন করে। কোর্ট আমলে নিয়ে তদন্ত বা পরোয়ানা জারি করে থাকে। ধারা-১৯০ (১গ) অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট নিজ ইচ্ছায় কোন অপরাধের সংবাদ পেলে বা কোন সন্দেহবশত তা আমলে নিতে পারে। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন। আপনার যে কোন সমস্যায় পরাম

মামলার চার্জশিটে প্রকৃত অপরাধী বাদ পরলে যা করতে হবে

Image
অনেকেই প্রশ্ন করেন মামলার প্রকৃত আসামী চার্জশিট থেকে বাদ পড়েছে কি করতে পারি আজকের আলোচনা তাদের জন্য। কোন মামলার চার্জশিটে যদি প্রকৃত আসামী যে অপরাধ সংগঠনে অংশ গ্রহন করেছিল সে বাদ যায় তবে তাকে আসামীভুক্ত করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আপনি নারাজীর পিটিশন দিবেন। নারাজী অর্থ আমি মানি না। অর্থাৎ যাদের কে আসামী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তা আমি মানি না। তাকে আসামী করা হোক। মনে করেন আপনি কয়েক জনের মাধ্যমে ভিকটিম হয়েছেন এবং তাদের বিরোধ্য মামলাও করেছেন। কিন্তু মামলার তদন্ত রিপোর্টের সময় দেখলেন, অপরাধে সক্রিয় অংশগ্রহন ছিল কিন্তু পুলিশ তাদের চার্জশিট না দিয়ে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে যে তারা উক্ত অপরাধে জরিত নয়। তখন আপনি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট #নারাজী পিটিশন দিবেন যেন বাদ যাওয়া আসামীদের অন্তর্ভুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিচার করা হয়। ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ২০০ ধারা আনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীর জবানবন্দী গ্রহন করে তা ১৯০ ধারা অনুযায়ী আমলে নিবে। অথবা ২০২ ধারা অনুযায়ী অনুসন্ধানের জন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার বা অন্য কোন ব্যাক্তির নিকট প্রেরন করবে। মনে রাখবেন নারাজী পিটিশ

আগাম জামিন কিভাবে নিতে হয়!

Image
আগাম জামিন হাইকোর্ট কর্তৃক সচরাচর ব্যবহার করা হয় ৷ আটকের সম্ভাবনা আছে এমন কোন ব্যক্তিকে আটকের পূর্বে যখন জামিন দেওয়া হয় তখন তাকে আগাম জামিন (Anticipatory bail) বলে। জামিন অযোগ্য অপরাধে আটকের সম্ভাবনা আছে মনে করলে, কোন ব্যক্তি হাইকোর্টে বা দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করতে পারবেন। ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এ আগাম জামিন (anticipatory bail) সম্পর্কে কোন সুনির্দিষ্ট বিধান নেই। উক্ত আইনের ৪৯৮ ধারায় হাইকোর্ট বিভাগ এবং দায়রা আদালতকে জামিন মঞ্জুরের অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তবে সে ক্ষমতা বিচার বিবেচনায় সাথে প্রয়োগ করতে হবে I শুধুমাত্র ৪৯৮ ধারায় আগাম জামিনের আবেদন করা যায় অন্যকোন ধারায় আবেদন করা যায় না। আগাম জামিন মন্জুর করার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ এবং দায়রা আদালতের একই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। জামিনের আদেশ এবং আগাম জামিনের আদেশের মধ্যে পার্থক্য হলো জামিনের আদেশ অভিযুক্তকে আটকেৱ পরে মঞ্জুর করা হয় ও জামিনের আদেশ বলতে বোঝায় পুলিশ হেফাজত হতে আটককৃত অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়া ৷ অন্যদিকে আগাম জামিন আটকের পূর্বে মঞ্জুর করা হয়। যে পদ্ধতির মাধ্যমে অভিযুক্ত আটক থেকে মুক্ত থাকে।